হঠাৎ হাজির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ

বাল্যবিবাহ
প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় এক কিশোরীর (১৬) বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান সেখানে হাজির হন। এটা শুনে বরযাত্রীরা কনের বাড়িতে পৌঁছানোর আগে সটকে পড়েন। বন্ধ হয়ে যায় ওই ছাত্রীর বাল্যবিবাহ।

সোমবার বেলা দুইটায় এ ঘটনা ঘটেছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই ছাত্রীর বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। কয়েক দিন আগে নওগাঁর তিলকপুর গ্রামে এক ছেলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে ঠিকঠাক করেন তার অভিভাবকেরা। সোমবার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়।

সেই অনুযায়ী কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বরযাত্রী আসার আগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রিতা রানী পাল ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডি এম রাহেল ইমামকে সঙ্গে নিয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির হন। এ খবর পেয়ে দুটি মাইক্রোবাসে করে রওনা দেওয়া বরযাত্রীরা মাঝপথ থেকে চলে যান। এতে ভেস্তে যায় বিয়ের আয়োজন।

বাল্যবিবাহের আয়োজন করার অপরাধে ছাত্রীর বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া তিনি ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মুচলেকা দিয়েছেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বলেন, ১৮ বছরের আগে কোনো মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না। তাঁরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন।