হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় অফিসে আসেন না পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদাল মিয়া চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) একজন বাসচালককে হত্যা মামলার আসামি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদাল মিয়া চৌধুরী। এ কারণে দুই মাস ধরে কোনো ধরনের ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত তিনি। এতে ব্যাহত হচ্ছে কার্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। অনুপস্থিতির জন্য জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় তাঁকে কারণ দর্শাও নোটিশও দিয়েছে।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জানুয়ারি মধ্যরাতে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আষেড়া গ্রামে ওরস চলাকালে পূর্ববিরোধের জের ধরে দুটি পক্ষের সংঘর্ষে আফজাল চৌধুরী (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। তিনি ফান্দ্রাইল গ্রামের জামাল মিয়া চৌধুরীর ছেলে। তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনে (বিআরটিসি) ঢাকায় বাসচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওরস উপলক্ষে বাড়িতে বেড়াতে এসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই তাউস মিয়া। এতে ওই এলাকার বাসিন্দা এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদাল মিয়া চৌধুরীসহ ৩৭ জনের নামে মামলা হয়। এজাহারে আবদাল মিয়ার নাম থাকায় তিনি দুই মাস ধরে পলাতক। সরকারি এ কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে অফিসের কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মীর সাজেদুর রহমান বলেন, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদাল মিয়া চৌধুরী দুই দফায় আট দিনের ছুটির আবেদন করেন। কিন্তু তিনি প্রায় দুই মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। কেন তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত, তা জানিয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে তাঁকে। আবদাল একটি হত্যা মামলার আসামি বলে শুনেছেন তিনি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁর ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। এ মামলায় অনেক আসামিই আদালত থেকে জামিন নিয়ে আছেন। আবদাল মিয়া চৌধুরীরও একইভাবে আদালত থেকে জামিন নেওয়ার সুযোগ আছে।