হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার নেই

টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার মামলায় বুধবার পর্যন্ত কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় আদালত গ্রেপ্তার বিদ্রোহী প্রার্থীর দুই অনুসারীকে বুধবার কারাগারে পাঠান এবং ছয়জনকে জামিনের আদেশ দেন।

গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু জানান, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে দায়েরকৃত খলিল হত্যা মামলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় গোপালপুর বাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার আটজনকে আদালতে পাঠানো হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলম আসামি হুমায়ন কবির ও শেখ ফরিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপর ছয় আসামি রাজু আহমেদ, আল আমিন, ফরিদ, সাহেব আলী, সেলিম মিয়া ও মঞ্জুরুল হকের জামিন মঞ্জুর করেন। তাঁরা সবাই বিদ্রোহী প্রার্থী কে এম গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী। তাঁদের সোমবার সন্ধ্যায় গিয়াস উদ্দিনের বাসা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় গোপালপুর উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রকিবুল হক ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কে এম গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা গিয়াস উদ্দিনের গোপালপুর বাজার এলাকার বাসা ঘেরাও করে রাখেন। খবর পেয়ে গিয়াস উদ্দিনের নিজ এলাকা ডুবাইল থেকে তাঁর সমর্থকেরা উপজেলা সদরের দিকে মিছিল নিয়ে রওনা হন। ওই মিছিলের ওপর হামলা হলে খলিল নামের এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগের কর্মী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অপর একটি মামলা করেন।

১৪ ফেব্রুয়ারি গোপালপুর পৌরসভায় নির্বাচন হবে। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছাড়াও বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।