হত্যাচেষ্টা মামলায় যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ৪

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ছাত্রদলের নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হকসহ চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে যশোর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার অপর তিনজন হলেন জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ ও ছাত্রদলের কর্মী জুবায়ের হোসেন।

ছাত্রদলের যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ শাখার সদস্যসচিব নূর ইসলাম ওরফে রুবেল হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সম্প্রতি যশোর শহরের জিলা স্কুল মাঠে ছাত্রদলের নেতা নূর ইসলামকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজেদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পী তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান। এ সময় নূর ইসলামের অনুসারীরা তাঁদের ধাওয়া দেন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আনছারুল হক ও রাজেদুর রহমানকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।

নূর ইসলামকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তাঁর ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। সোমবার সকালে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আনছারুল হক, আরিফুল ইসলাম, আনোয়ার পারভেজ ও জুবায়ের হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে যুবদলের চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রদলের নেতা নূর ইসলাম হত্যাচেষ্টা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহম্মেদ বলেন, ‘দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হানাহানির ঘটনা দুঃখজনক। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা বিএনপির নেতাদের জানানো হয়েছে।’