হবিগঞ্জে ঘুষ দাবি করা ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

দুর্নীতি
প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আবিদ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারি জমি থেকে একটি বিপণিবিতান রক্ষা করে দেওয়ার কথা বলে ৫০ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ তদন্তের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এসে পৌঁছেছে।

উপজেলা প্রশাসন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা এলাকায় ফরছু মিয়া চৌধুরী নামের এক যুক্তরাজ্যপ্রবাসী নিম্বর টাওয়ার নামের একটি বহুতল বিপণিবিতান নির্মাণ করেন। সম্প্রতি নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আবিদ আলী এ বিপণিবিতানের তত্ত্বাবধায়ক মো. জয় চৌধুরী ও মো. আল আমিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের আবিদ আলী বলেন, বিপণিবিতানের ভেতরে সরকারের জমি রয়েছে। এ সরকারি জমি থেকে বিপণিবিতান সরাতে হবে। একপর্যায়ে তিনি মালিককে প্রস্তাব দেন, তাঁকে ৫০ লাখ টাকা দিলে তাঁদের আর এ মার্কেট ভাঙতে বা সরাতে হবে না। বিষয়টি রফাদফা করার জন্য সম্প্রতি উভয় পক্ষ নবীগঞ্জ শহরের একটি আধুনিক রেস্তোরাঁয় বসেন। এ সময় বিপণিবিতানের মালিক পক্ষ উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আবিদ আলীর সব কথাবার্তা মুঠোফোনে রেকর্ড করেন।

একপর্যায়ে আবিদ আলী ভয়ভীতি দেখালে ক্ষুব্ধ হয়ে বিপণিবিতানের তত্ত্বাবধায়ক মো. আল আমিন চৌধুরী গত ৬ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে বিষয়টি ইউএনও শেখ মহি উদ্দিন নিজে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান। তিনি এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গত ১২ এপ্রিল হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠান। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান গত ২২ এপ্রিল উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আবিদ আলীকে তাঁর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশে স্বাক্ষর করেন।

নবীগঞ্জ সদর উপজেলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা বিষ্ণু ভট্টাচার্য্য জানান, ওই ভূমি কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ আজ বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে।