হবিগঞ্জে মানিক চৌধুরী পাঠাগার চালু

হবিগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মানিক চৌধুরী পাঠাগারের পাঠাগার অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। রোববার সকালে জেলা শহরের স্টাফ কোয়া্র্টার এলাকায়।
ছবি: প্রথম আলো

হবিগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মানিক চৌধুরী পাঠাগারের পাঠাগার অংশ আজ রোববার চালু করা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক চৌধুরীর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এটি খুলে দেওয়া হয়।

আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি জাদুঘরটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।

পাঠাগারটি খুলে দেওয়া উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের স্টাফ কোয়ার্টারে হবিগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মানিক চৌধুরী পাঠাগারে আলোচনা সভা হয়। এতে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ইকরামুল ওয়াদুদ সভাপতিত্ব করেন। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানসহ নানা শ্রেণি–পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

আমার বাবা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী একজন ভাষাসংগ্রামী। ভাষার মাস আমরা উদ্‌যাপন করব ভাবগাম্ভীর্য ও ফাগুন বরণের ঐতিহ্যের সঙ্গে। জাদুঘরটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি।
আমাতুল কিবরিয়া কেয়া, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ

সভায় অন্যদের মধ্যে মানিক চৌধুরীর মেয়ে ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে তিনি ১১ জন শিক্ষার্থীর হাতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীবিষয়ক বই, শীতবস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন।

আমাতুল কিবরিয়া বলেন, ‘আমার বাবা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী একজন ভাষাসংগ্রামী। ভাষার মাস আমরা উদ্‌যাপন করব ভাবগাম্ভীর্য ও ফাগুন বরণের ঐতিহ্যের সঙ্গে। জাদুঘরটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি।’ ওই দিন দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সভায় বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলী, জিয়াউল আহসান শ্রীমঙ্গল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নিখিল ভট্টাচার্য, নারী মুক্তিযোদ্ধা রাজিয়া খাতুন, শহীদ সন্তান ছোরাব আলী ও ‘আমার হবিগঞ্জ’ পত্রিকার সম্পাদক সুশান্ত দাশ গুপ্ত।