হল–ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন ইবির শিক্ষার্থীরা

হল খুলে দেওয়ার দাবিতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি পালন করেন। আজ সোমবার দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের সামনে
প্রথম আলো

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সেগুলোর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাঁরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

আজ সোমবার দুপুরের ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আগামী ১৭ মে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ২৪ মে থেকে। শিক্ষামন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন ২০ থেকে ৩০ শিক্ষার্থী। তাঁরা দ্রুত হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান প্রশাসনের কাছে। হল যত দিন খোলা না হবে আন্দোলন চলবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্যের কাছে তাঁরা হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন।

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনি আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩ মাস পর খুলবেন, তো এত আগেই ঘোষণা দেওয়ার কী আছে? আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মুলা ঝোলানো সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি।’
আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থী জি কে সাদিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা জটিল সময়ের মধ্যে আছে। আশা করব, সরকার তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। হল না খোলা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে প্রশাসন সজাগ রয়েছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও নজর রাখছেন।

প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের কিছুই করার নেই। দেখা যাক কী হয়।’