কুমিল্লায় হলুদ তরমুজ চাষে সাফল্য

তরমুজ খেত পরিচর্যা করছেন আনোয়ার হোসেন। শনিবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বলরামপুর গ্রামে।
ছবি: প্রথম আলো

মাচায় ঝুলছে তরমুজ। তা দেখতে প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছেন কৃষক আনোয়ার হোসেনের খেতে। এই তরমুজের উপরিভাগ হলুদ। ভেতরে টকটকে লাল। স্বাদে মিষ্টি ও সুস্বাদু। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামে তিনি এই তরমুজের চাষ করেছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরোনো মহাসড়কের পাশে বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তার অদূরেই ৬৫ শতক জমিতে কৃষক আনোয়ারের তরমুজখেত। ৫০ দিন আগে সিরাজগঞ্জ থেকে বীজ সংগ্রহ করে এনে বীজ বপন করেন। এ পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, সার, বীজ, মাচা, সুতা ও জাল বাবদ তাঁর খরচ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ১৫ দিন পরই তরমুজ খাওয়ার উপযোগী হবে।

সরেজমিনে গত শনিবার বিকেলে বলরামপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মালচিং পদ্ধতিতে এ তরমুজ চাষ হচ্ছে। মাচায় ঝুলছে হলুদ তরমুজ। সবুজ পাতার মধ্যে যেদিকে চোখ গেছে, শুধু হলুদ তরমুজ ঝুলতে দেখা গেছে। কৃষক আনোয়ার ও তাঁর দুই সহকর্মী তরমুজগাছের পরিচর্যা করছিলেন।

কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত বছর আমি কালো তরমুজ করে ভালো ফলন পেয়েছি। এ বছর আমি ইউটিউব দেখে হলুদ তরমুজ চাষ করার উদ্যোগ নিই। কৃষি বিভাগ আমাকে সহযোগিতা করছেন। এ তরমুজের গায়ের রং হলুদ। ভেতরে লাল টকটকে। শিলাবৃষ্টি না হলে ও বৈরী আবহাওয়া না থাকলে অন্তত ১২ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব।’

উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, হলুদ তরমুজের পুষ্টিগুণ বেশি, মিষ্টিও বেশি। কুমিল্লার মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। আনোয়ার উদ্যোমী কৃষক। তাঁর আগ্রহ থেকেই কুমিল্লায় প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে হলুদ তরমুজের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘কৃষক আনোয়ার আর ১৫ দিন পর এই অঞ্চলে নতুন গল্পের সূচনা করবেন। আমরা তাঁর সঙ্গে আছি।’