হাওর দেখতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাবা-ছেলের

ময়মনসিংহ-কিশােরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইলে শনিবার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মাইক্রােবাস
প্রথম আলো

ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল হাইওয়ে থানার পশ্চিম দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারী-শিশুসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।

নিহত দুজন হলেন বাবা এমদাদুল মোকাদ্দেছ ফাহাদ আলম (৩২) ও তাঁর ছেলে তুরান (৫)। আহত হয়েছেন নিহতের স্ত্রী রেবু আক্তার (২৫), শারমীন আক্তার (১২), শাহনাজ বেগম (২৫), হোসাইন আহমেদ (২৫), জেবু আক্তার (৩৫), রুনা আক্তার (৪৫), হাসিনা শাহীন রোজী (৫২), বন্যা আক্তার (২০), মাখন (৫০), জারিফ (১২), ফেরদৌসী (৫০) ও শামীম (২৫)। তাঁরা শেরপুর জেলার শ্রীবরদী ও জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। আহত হোসাইন আহমেদ বলেন, তাঁরা সবাই আত্মীয়। হাওর দেখতে মাইক্রোবাসে করে কিশোরগঞ্জের নিকলীর দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে কুকুরের একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে চালক মাইক্রোবাসটিকে নিয়ে পাশ কাটিয়ে সামনে যেতে চান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যানের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি যানের সামনে অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই এমদাদুল মারা যান। তাঁর কোলে বসে থাকা ছেলে তুরান গুরুতর আহত হয়। নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়। নিহত এমদাদুল মোকাদ্দেছ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

ময়মনসিংহ-কিশােরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইলে শনিবার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া পিকআপভ্যান
প্রথম আলো

নান্দাইল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, আহত ব্যক্তিদের প্রথমে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।