হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার

মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল হাওরের হুলাসখালী ফসল রক্ষা বাঁধটির প্রায় ২০ ফুট কেটে দেওয়া হয়েছে। এরপর চার দিন ধরে সেখানে নিষিদ্ধ ভিম জাল পেতে মাছ শিকার করছিলেন স্থানীয় কয়েকজন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে দুটি নিষিদ্ধ ভিম জাল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চন্দ্র সোনার থাল হাওরের হুলাসখালী ফসল রক্ষা বাঁধটি উপজেলার হুলাসখালী গ্রামের সামনে। এটি সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীন। মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে এই বাঁধটির প্রায় ২০ ফুট সপ্তাহখানেক আগে রাতের আঁধারে কেটে দেওয়া হয়। এরপর চার দিন ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র বাঁধের কাটা স্থানে দুটি নিষিদ্ধ ভিম জাল পেতে মাছ শিকার করে আসছিল। জাল পেতে মাছ শিকারের ফলে বাঁধের কেটে দেওয়া স্থানটি বড় হয়ে এখন ৩০ ফুট হয়ে গেছে।

সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলা প্রশাসন ফসল রক্ষা বাঁধটিতে অভিযানে গেলে মাছ শিকারের কাজে নিয়োজিত লোকজন পালিয়ে যান।

সুনামগঞ্জ পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী ও ধরমপাশা উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্যসচিব ইমরান হোসেন বলেন, ‘মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে রাতের আঁধারে এই বাঁধের কিছু অংশ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাঁধের ওই কাটা স্থানে দুটি ভিম জাল পেতে কয়েকজন চার দিন ধরে সেখানে মাছ শিকার করে আসছে বলে খবর পেয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের অভিযান টের পেয়ে তারা দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়েছে। দুটি ভিম জাল জব্দ করা হয়েছে। কারা এই ফসল রক্ষা বাঁধটি কেটেছে এবং কারা সেখানে ভিম জাল পেতে মাছ শিকার করছে, তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার কাজে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। জব্দ করা নিষিদ্ধ দুটি ভিম জাল উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রকাশ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হবে।