হাটে উপচে পড়া ভিড়, অনেকের মুখে নেই মাস্ক

রংপুরের তারাগঞ্জ বাজারে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। অনেকের মুখে মাস্কও নেই। তারাগঞ্জ হাট, ৫ মার্চ
ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘরের বাইরে বের হলেই মাস্ক পরার নির্দেশনা থাকলেও রংপুরের তারাগঞ্জ হাটে আসা বেশির ভাগ লোক তা মানছেন না। অধিকাংশ লোকের মুখে মাস্ক নেই। কারও কারও মাস্ক থাকলেও তা নামানো থুতনিতে। একজন আরেক জনের গা ঘেঁষে করছেন কেনাবেচা। সোমবার দুপুরে তারাগঞ্জ হাটের দৃশ্য এটি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৮টি হাটবাজার আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট তারাগঞ্জ। প্রতি সোম ও শুক্রবার বসে এ হাট।

সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তারাগঞ্জ হাটের হাঁস-মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গিজ গিজ করছে মানুষে। কেউ দরদাম করছেন, কেউ টাকা গুনছেন। আবার কেউ কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছেন। অনেকের মুখে মাস্ক নেই।

হাটে বাজার করতে আসা পাতাইপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, আগের মতোই হাটে মানুষের ভিড়। অনেকে মাস্কও ব্যবহার করছেন না। ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের কিছু বলছেন না। হুড়োহুড়ি করে গা ঘেঁষে কেনাকাটা চলছে।

হাটের সবজিবাজারে গিয়ে দেখা যায়, যথেষ্ট ভিড়। গায়ে গায়ে ঠাসাঠাসি করে চলছে কেনাবেচা। এ দোকান–সে দোকানে ঘোরাঘুরি করছেন অনেকে। সবজি ব্যবসায়ী তারাজুল ইসলাম বলেন, ‘হামরা কী করমো কন? হামার কথা তো শোনোছে না। মাস্ক মুখোত পরিবার কথা কইলে কয় গরম নাগে, নিকাশ বন্ধ হয়।’

সবচেয়ে বেশি ভিড় পশুর হাটে। একে অপরের সঙ্গে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ দরদাম করছেন, কেউ পশু কিনে ট্রাকে তুলছেন। অধিকাংশ লোকের মুখে মাস্ক নেই। কারও কারও মাস্ক থাকলেও তা নামানো থুতনিতে। মাছ–মাংসের বাজার ঘিরেও মানুষের ভিড়। জটলা বেঁধে মাছ কিনছেন লোকজন।

মাছ ব্যবসায়ী মিলন মিয়া বলেন, মাছ কেনাবেচা তো গতকালের চেয়ে আজ (সোমবার) বেশি হচ্ছে। ক্রেতাদের মুখে মাস্ক দেওয়ার কথা বললেও তাঁরা শুনেন না। কার আগে কে কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই প্রতিযোগিতা চলছে।

জানতে চাইলে ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেন, মাস্ক পরার জন্য তো লোকজনকে সচেতন করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণও করা হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরার জন্য প্রতিদিন মাইকিংও করা হচ্ছে।