হাত থেকে ছিটকে বাঁচল শুধু মেয়েটি, নিহত মা

পারুল বেগমের (৪০) বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি পদ্মা নদীর ওপারে চর মাজারদিয়াড়ে। সাত বছর বয়সী ছোট মেয়ে লাবিবাকে নিয়ে পারুল মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি ফিরছিলেন মা-মেয়ে। নগরের কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে এসে তিনি মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে সড়ক পার হচ্ছিলেন। এমন সময় একটি ট্রাক এসে তাঁদের ধাক্কা দেয়। মেয়েটি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এতে মেয়েটি বেঁচে গেলেও হাসপাতালে নেওয়ার পর মা পারুল বেগম মারা যান।

দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী নগরের কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পারুল বেগমের বাড়ি রাজশাহী নগরের শাহমখদুম থানাধীন বড়বাড়িয়া মহল্লায়। তাঁর স্বামীর নাম সেলিম হোসেন। এ ঘটনায় শিশু লাবিবা খাতুন হাতে সামান্য আঘাত পেয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই থাকা পুলিশের একটি গাড়িতে করে দ্রুত পারুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের সহকারী পালিয়ে গেলেও আটক করা হয়েছে চালককে। এ ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী সেলিম হোসেন থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেছেন। নিহত নারীর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।