হামলায় কাউন্সিলর প্রার্থীর মৃত্যুর খবরে বিক্ষুব্ধদের হামলা–ভাঙচুর

সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী প্রার্থী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা হামলা-ভাঙচুর করেছেন। হাসপাতাল থেকে বিজয়ী কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খানের মৃত্যুর খবর আসার পরপরই এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার রাতে ব্যাপারীপাড়ার আবদুস সালামের বাসভবনে হামলা চালানো হয়। এ সময় বাসাটির গ্যারেজে থাকা একটি প্রাইভেটকার, দুটি পিকআপ ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া আরও দুটি বাড়িতে হামলা করা হয়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত বাসভবনটির মালিক আবদুস সালাম বলেন, ‘কেন আমার বাড়িতে হামলা করা হলো, বুঝতে পারছি না।’

সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

গতকাল রাত আটটার দিকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তরিকুল ইসলাম খানকে বিজয়ী ঘোষণার পর পরাজিতপক্ষের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিজয়ী ওই কাউন্সিলর প্রার্থী গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাঁর লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনি শহরের নতুন ভাঙাবাড়ি এলাকার সাবেক কাউন্সিলর আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।