হুমকিতে বিদ্যালয় ভবন ও আশ্রয়কেন্দ্র

লালমনিরহাট সদর উপজেলার খারুয়া বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও খারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের মাত্র ৩০ ফুট দূরে ধরলা নদীতে ভাঙন চলছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তোলা ছবি।
প্রথম আলো

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নে ধরলা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীভাঙনের কারণে খারুয়া বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও খারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন হুমকির মুখে রয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নদীভাঙন বন্ধ করতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাঙতে ভাঙতে খারুয়া বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও খারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ৩০ ফুটের মধ্যে ধরলা নদী চলে এসেছে। ধরলায় উজানের দিক থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে।

খারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, খারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এই দুর্গম চর এলাকার একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি ধরলা নদীতে বিলীন হয়ে গেলে এলাকার খুদে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হবে। ধরলা নদীর ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।  

স্থানীয় মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলতাফ হোসেন বলেন, খারুয়ার চর এলাকার প্রায় চার হাজার মানুষ, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের চারতলা ভবন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাটবাজার রক্ষার জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় প্রতিবছরই এখানে কোনো না কোনো দিক থেকে ধরলা নদীর ভাঙন শুরু হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যখন জিও ব্যাগ ফেলে, তখন ভাঙনকবলিত এলাকায় কাজ করে। আমরা চাই এখানে সিসি ব্লক ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা হোক।’

মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ধরলা নদীর ভাঙনের শুরু হওয়ার পর আমি বিষয়টি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পাউবোর কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছি।’

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ‘ধরলা নদীর ভাঙনের শুরু হওয়ার সংবাদ পেয়ে পাউবোর কর্মকর্তাদের দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।’

এ বিষয়ে পাউবোর লালমনিরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, এ বছর খারুয়ার চর এলাকার উজান থেকে ধরলা নদীর ভাঙনের শুরু হয়েছে। খারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খারুয়া বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের সামনে ৫০০ মিটারজুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি জানার পর পাউবোর উদ্যোগে ১২ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সেখানে বালুভর্তি আড়াই হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।