‘হেফাজত সরকারবিরোধী বা সরকারদলীয় সংগঠন নয়’

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা শাখার আয়োজনে নগরের রেজিস্টারি মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সমাবেশস্থলের আশপাশের সড়কেও জমায়েত হন নেতা-কর্মীরা। গতকাল বিকেলে সুরমা পয়েন্টে
আনিস মাহমুদ

হেফাজতে ইসলাম সরকারবিরোধী বা সরকারদলীয় সংগঠন নয়। হেফাজতে ইসলাম শুধু দ্বীনি কাজ, ইসলামের কাজ, ইবাদত–বন্দেগির কাজ করতে যেন সুবিধা হয়, সে রাস্তা বের করার জন্য এসেছে। যারা দ্বীনের শত্রু, ইসলামের দুশমন, রাসুল (সা.)–এর শত্রু, আল্লাহর দুশমন, নাস্তিক, কাদিয়ানি, যারা আল্লাহর রাসুলকে কটাক্ষ করে কথা বলে, তাদের কবর রচনা করার জন্য হেফাজতে ইসলাম এসেছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে সিলেট নগরের রেজিস্টারি মাঠে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় মদদে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্রের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম সিলেটের উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বাবুনগরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশ চলবে মদিনার সনদে। আমরা এই কথার সঙ্গে আছি। আমরাও চাই এই দেশ চলবে মদিনার সনদে। এই দেশ ভারত, আমেরিকা, চীনের সনদে চলতে পারে না।’
সরকারি ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানিকে কাফের ঘোষণার দাবি জানিয়ে বাবুনগরী বলেন, বিভিন্ন দেশ সরকারি ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানিকে কাফের ঘোষণা করেছে। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কাদিয়ানিকে কাফের ঘোষণা করতে কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।

বাবুনগরী বলেন, কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে কাফের ঘোষণা করা হোক। এরপর তারা দেশে সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাস করুক, আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শায়খুল হাদিস আল্লামা জিয়া উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহাসচিব আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী।
সমাবেশের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সমাবেশের অন্যতম আহ্বায়ক মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ। সমাবেশ থেকে ছয়টি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সে মহানবী (সা.)–এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে জাতীয় সংসদে নিন্দার প্রস্তাব, ফ্রান্স সরকারকে বিশ্ব মুসলিমদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আগপর্যন্ত ফ্রান্সের পণ্য বর্জন, কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা, সিলেটে মদের বার স্থাপনের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি ও পুলিশ হেফাজতে নিহত রায়হান হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসি ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।