হেফাজত হলো বিএনপি ও জামায়াতের ‘বি টিম’: হানিফ

স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। আজ সকালে মেহেরপুরের মুজিবনগরের আম্রকাননে
প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম যাঁরা করেন, তাঁরা সংবিধান ও স্বাধীনতাসংগ্রামকে মানতে চান না। বিএনপির নেতৃত্বে তাঁরা শক্ত অবস্থায় দানা বেঁধেছেন। বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত মূলত একই। হেফাজত হলো বিএনপি ও জামায়াতের ‘বি টিম’। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা হবে।

আজ শনিবার সকালে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ এসব কথা বলেন। মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে এর আয়োজন করা হয়। এর আগে দিবস পালনের অংশ হিসেবে স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন হানিফ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে হানিফ বলেন, স্বাধীনতার পরে যখন বঙ্গবন্ধু স্বাধীন রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, তখন জামায়াতে ইসলামী ও মুসলিম লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের কাজ শুরু করেছিলেন। অনেকে যুদ্ধাপরাধী কারাগারে ছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে আইন বাতিল করে তাদের মুক্ত করেন। সে সময় যে বীজ বপন করা হয়েছিল, সেই বীজ বেড়েই চলছে। এ কারণেই তাদের এত আস্ফালন।

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের করা এক মন্তব্যের প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারের সময় বাংলাদেশকে দরিদ্র বলেছেন। সে বিষয়টি আমাদের বিবেচ্য নয়। তা ছাড়া, ভোটের মাঠে কৌশলগত কারণে অনেক সময় অনেক কথা বলা হয়। বাংলাদেশ কোন পর্যায়ে আছে, তা বিশ্বের মানুষ দেখছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। সারা বিশ্ব যেখানে বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে দেখছে সেখানে ভোটের মাঠে কে কী বলল, তা বিবেচ্য বিষয় না।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মেহেরপুর-২ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ শাহিদুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী।

করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বল্পপরিসরে মুজিবনগর দিবস পালনের আয়োজন করে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ। সকাল পৌনে ছয়টার দিকে স্মৃতিসৌধের পাদদেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবস পালনের সূচনা করা হয়।