হেফাজতের সহিংসতার ঘটনার প্রতিবাদে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন

সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা স্বাধীনতা চত্বরে
ছবি: প্রথম আলো

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাবসহ সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে কসবা স্বাধীনতা চত্বরে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে কসবা প্রেসক্লাবের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।

কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম জি হাক্কানী, স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সদস্যসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এইচ শাহ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম শাহজাহান, কসবা টি আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক খ ম হারুনুর রশিদ ঢালী, মো. শাহ আলম, নেপাল চন্দ্র সাহা, মো. সোহরাব হোসেন, মো. অলিউল্লাহ সরকার প্রমুখ।

হেফাজতের সহিংসতায় ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাঁরা ওই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেন। এ সময় হেফাজতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে হেফাজতের দাবি, নিহতের সংখ্যা ১৫।