হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন ছাত্রলীগ নেতা

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা সুয়াইব আহমেদ। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে রয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে
সংগৃহীত

বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে ছাত্রলীগের এক নেতা হেলিকপ্টারে করে গেলেন কনে আনতে। এ সময় শত শত লোক ভিড় জমান। উৎসুক লোকজনের ভিড় সামলাতে ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে ছিল পুলিশও।

এ জাঁকালো বিয়ের বর সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুয়াইব আহমেদ। উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের চিতুলিয়া নিজ গ্রাম থেকে আজ শনিবার তিনি হেলিকপ্টারে যাত্রা শুরু করেন।

আলোচিত এই বিয়ের কনের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আগফৌদ নারাইনপুর গ্রামে। কনে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। বর ও কনে উভয়ের এলাকাতেই এ ঘটনায় আজ সাড়া পড়ে গিয়েছে। সিলেট শহরের চন্ডিপুল কুশিয়ারা কনভেনশন হলে এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে এই বিয়ে সম্পন্নের পর বর সুয়াইব আহমেদ হেলিকপ্টারে চড়ে কনে নিয়ে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।

বর সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুয়াইব আহমেদ। কনে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক।

বরের বড় ভাই যুক্তরাজ্যপ্রবাসী জুবায়ের আহমেদ জানান, তাঁরা চার ভাই চার বোনের মধ্যে বর সবার ছোট। তাই আদরের ছোট ভাইয়ের বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে হেলিকপ্টারে করে বরযাত্রা ও কনে নিয়ে আসার আয়োজন করা হয়। ঢাকা থেকে ভাড়া করে হেলিকপ্টার আনা হয়।

হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল। কৌতূহলী ও উৎসুক লোকজনের ভিড় সামলাতে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।
রাজিব রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই), জগন্নাথপুর থানা

বরের গ্রাম চিতুলিয়ার বাসিন্দা ও সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল আজিজ জানান, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের আয়োজনে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উৎসুক লোকজন হেলিকপ্টার ও বর-কনেকে দেখতে ভিড় জমান। গ্রামবাসীর মধ্যে এ সময় আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা যায়।

জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব রহমান জানান, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল। কৌতূহলী ও উৎসুক লোকজনের ভিড় সামলাতে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।