হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন ছাত্রলীগ নেতা

হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যান ছাত্রলীগ নেতা রিদওয়ান আনসারি। আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামে কনের বাড়ি এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগ নেতা রিদওয়ান আনসারি হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের বোর্ডিংয়ের মাঠ থেকে বরযাত্রী নিয়ে হেলিকপ্টারে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এ সময় কয়েক শ লোক ভিড় জমান হেলিকপ্টার দেখতে।

রিদওয়ান আনসারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকার এ আর আনসারি ও রোকসানা আনসারির ছোট ছেলে।

বরযাত্রী ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, আলোচিত এই বিয়ের কনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর গ্রামে। কনে তামান্না খানম চাঁদনী সুহিলপুর গ্রামের আক্তার খানের মেয়ে। তিনি এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বর ও কনে উভয়ের বাড়ি একই জেলায়। সুহিলপুর গ্রামের কনের বাড়িতেই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে বিয়ে সম্পন্নের পর বর রিদওয়ান আনসারি হেলিকপ্টারে চড়ে কনে নিয়ে শহরের বোর্ডিং মাঠে অবতরণ করে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন।

বরের বড় ভাই রাইয়ান আনসারি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দুই ভাই, কোনো বোন নেই। রিদওয়ান আনসারি সবার ছোট। তাই আদরের ছোট ভাইয়ের বিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে হেলিকপ্টারে করে বরযাত্রা ও কনে নিয়ে আসার আয়োজন করা হয়। ঢাকা থেকে ভাড়া করে হেলিকপ্টার আনা হয়। হেলিকপ্টার থেকে নেমে কনের বাড়ি পর্যন্ত বর ঘোড়ার গাড়িতে গেছেন। আবার ঘোড়ার গাড়িতে করেই হেলিকপ্টার পর্যন্ত এসেছেন। আমাদের ব্যক্তিগত প্রাডো গাড়িও ছিল। ছোট ভাইয়ের খুব ইচ্ছে ছিল বিয়ের দিন কনের বাড়িতে হেলিকপ্টারে যাবে। সেই আশা আমরা পূরণ করেছি।’

রিদওয়ান আনসারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামে কনের বাড়ি এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহীম প্রথম আলোকে বলেন, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কৌতূহলী ও উৎসুক লোকজনের ভিড় সামলাতে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে।