১০ গুণীজনকে সম্মাননা দিল শিল্পকলা একাডেমি

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য গাইবান্ধার ১০ জন গুণীজনকে সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি। একাডেমির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত শনিবার রাতে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ উপলক্ষে ‘ডেকেছিলে বলে ভোরের পাখিরা’ শীর্ষক এক সুধী সমাবেশ নিজস্ব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম, পৌর মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক প্রমতোষ সাহা, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আলমগীর কবির প্রমুখ।

সমাবেশে হুইপ মাহাবুব আরা বেগম বলেন, গাইবান্ধায় সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় শিল্পকলা একাডেমি জেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রদান করে ১০ জন গুণী ব্যক্তির যথাযোগ্য মূল্যায়ন করেছে। এসব গুণীজনকে সম্মানিত করে শুধু তাঁরাই নন, বরং একাডেমির কর্মকর্তারা নিজেরাই সম্মানিত হয়েছেন। আগামী দিনগুলোতে দেশ ও জাতির সাহিত্য–সংস্কৃতির উন্নয়নে গুণীজনেরা আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সাংবাদিক অমিতাভ দাশের সঞ্চালনায় গুণীজনদের জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন আরিফুল ইসলাম ও রিকতু প্রসাদ। এ সময় সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে শপদক, সনদ, উত্তরীয় ও ১০ হাজার টাকার একটি চেক দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে গুণীজনদের জীবনবৃত্তান্ত ও ছবিসংবলিত একটি আকর্ষণীয় স্যুভেনিরও প্রকাশ করা হয়।

সংস্কৃতি ক্ষেত্রে ২০১৮ সালে যাঁরা সম্মাননা পেয়েছেন তাঁরা হলেন নাট্যকলায় আবদুর রাজ্জাক, সৃজনশীল সংস্কৃতি গবেষণায় আবু জাফর, সৃজনশীল সংগঠক হিসেবে জহুরুল কাইয়ুম, যন্ত্রসংগীতে আবদুল হালিম, আবৃত্তিতে দেবাশীষ দাশ। ২০১৯ সালে নৃত্যকলায় গোপাল প্রসাদ, চলচ্চিত্রে এম সাখাওয়াত হোসেন, কণ্ঠসংগীতে জাফরিন আলম, নাট্যকলায় আলমগীর কবির ও সৃজনশীল সংগঠক হিসেবে বাবুলালকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।