১০০ টাকার পথ পাড়ি দিতে ৫০০ টাকা

জামালপুরের তারাকান্দি থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কর্মস্থলে ফিরতে মো. শাহীন মিয়ার ১০০ টাকার জায়গায় ৫০০ টাকা লেগেছে
ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বানিয়ারা-কদিমধল্যা এলাকার সাদিয়া টেক্সটাইল নামের পোশাক কারখানায় কাজ করেন মো. শাহীন মিয়া। আজ রোববার সকালে নিজের বাড়ি জামালপুরের তারাকান্দি উপজেলার বয়রা বাজার থেকে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরতে তাঁর ১০০ টাকার ভাড়া লেগেছে ৫০০ টাকা। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে চলমান ধর্মঘটের কারণে তাঁর এ ভোগান্তি।

শাহিন মিয়া বলেন, ‘ম্যালা কষ্ট অইছে। বাড়ি থিক্যা ভ্যাঙ্গা ভ্যাঙ্গা আইলাম। বাসে আইলে লাগতো মাত্র ১০০ টাকা। আর আইজ লাগলো পরায় ৫০০ টাকা। কামে না ফিরলে খামু কী? আমাগো কপালে খালি কষ্ট আর কষ্ট।’

ধর্মঘটের তৃতীয় দিন আজও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ চলছে। বাস না চলায় মানুষ গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবারের মতো বিকল্প উপায় হিসেবে মোটরসাইকেল, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যানসহ নানা পরিবহনে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এ সুযোগে ছোট পরিবহনের চালকেরা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন।

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বাইপাইলগামী পিকআপ ভ্যানচালক নিলয় হাসান জানান, এলেঙ্গা থেকে তিনি কয়েকজন যাত্রী তুলেছেন। প্রত্যেকের কাছে যেখানেই নামুক ১০০ টাকা করে ভাড়া নিয়েছেন। এতে তাঁর বাড়তি টাকা আয় হচ্ছে।
বিদেশে যেতে পাসপোর্ট নবায়ন করবেন মির্জাপুর উপজেলা সদরের গাড়াইল এলাকার মো. শফিকুল ইসলাম। এ জন্য টাঙ্গাইল যেতে হবে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিনি বাসস্ট্যান্ডে আসেন, কিন্তু বাস পাননি। বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা দেন। তিনি বলেন, ‘এভাবে আর চলে না। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা উচিত।’

মির্জাপুর ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক আহমেদ জানান, রাস্তায় ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য পরিবহন চলছে। মাঝেমধ্যে দু–একটি বাসও দেখা যাচ্ছে। মানুষ কষ্ট করে গন্তব্যে যাচ্ছেন।