১১ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি পদ্মায় নিখোঁজ মাইক্রোবাসের চালকের

নিখোঁজ চালক মারুফ হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুনের তার ছিঁড়ে পদ্মায় পড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসের চালকের খোঁজ ১১ ঘণ্টায়ও মেলেনি। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হলে পন্টুন থেকে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। দুই ঘণ্টা পর বেলা দেড়টার দিকে মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হলেও ভেতরে চালককে পাওয়া যায়নি। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চালকের সন্ধান মেলেনি। সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের দল আবার তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।

নিখোঁজ চালকের নাম মারুফ হোসেন (৪০)। তিনি ঢাকার হাতিরঝিল এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মাকসুদুর রহমানের নতুন কেনা মাইক্রোবাসের (ঢাকা মেট্রো চ-১৪-২৬০৮) চালক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। গত সোমবার মাইক্রোবাসের মালিকের শ্যালক সৌদি আরবপ্রবাসী মিজানুর রহমান রবিনকে গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা নামিয়ে দিয়ে গতকাল সকালে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।

গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার বলেন, মাইক্রোবাসটি উদ্ধার হলেও চালকের সন্ধান মেলেনি। তাঁর সন্ধানে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের ডুবুরি দল অনুসন্ধান চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন জানিয়েছিলেন, মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ দু–তিনজন ছিলেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, গাড়িতে চালক ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। তবে আমাদের ধারণা, চালক ছাড়া গাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। চালকের সন্ধানে সম্ভাব্য সব স্থানে তল্লাশিকাজ চলছে।’

আরও পড়ুন

দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুল মোন্নাফ আলী বলেন, গতকাল রাতে নিখোঁজ চালক মারুফ হোসেনের ছোট ভাই, জামাতা, মাইক্রোবাসের মালিকের নিকট আত্মীয়সহ কয়েকজন এসেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, চালক সাঁতার জানেন না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে মাইক্রোবাসটি ঝড়ের কবলে পড়ে নদীতে ডুবে যায়। চালক সাঁতার না জানায় ডুবে গেছেন।

আরও পড়ুন