১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীতে পাঞ্জাবিতে দরজির লাগানো বোতাম পছন্দ না হওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার সময় গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তি ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম আবদুস সালাম (৬০)। তিনি সদর উপজেলার নেহাব গ্রামের বাসিন্দা ও পাঁচদোনা বাজারের মাইক্রো গ্রিন সিটি মার্কেটের নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন।

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল রাত ৯টায় নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা বাজারের সোহাগ টেইলার্সে এ হামলার সময় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলার ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আবদুস সালামসহ মোট ৪ জন আহত হন। অন্য তিন আহত ব্যক্তি হলেন মেহেরপাড়া গ্রামের মনির হোসেন (৪৮), মো. মিনাজ (৪৫) ও পাঁচদোনা গ্রামের দরজি সিরাজ মিয়া (৪০)।

পুলিশ, আহত ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঞ্জাবির বোতাম লাগানোকে কেন্দ্র করে সিরাজের সঙ্গে জাহাঙ্গীরের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে জাহাঙ্গীর ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু সিরাজ মিয়াকে মারধর করেন। ঘটনার পর টেইলার্স বন্ধ করে আহত সিরাজ বাসায় চলে যান। পরে বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা তাঁকে দেখতে তাঁর বাসায় যান এবং বিচারের আশ্বাস দেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার জন্য তাঁকে নিয়ে বাজারের ওই টেইলার্সে আসেন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলে তাঁরাও বিচারের আশ্বাস দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাত ৯টার দিকে আলামিন, নূর আলম ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ২৫–৩০ জন যুবক ‘আবার কেন দোকান খোলা হলো’, এই অভিযোগে হামলা চালান। এই সময় ৪–৫টি ফাঁকা গুলি করা হয়। এরই একটি গুলিতে পার্শ্ববর্তী একটি মার্কেটের নিরাপত্তা প্রহরী আবদুস সালাম গুলিবিদ্ধ হন। অন্যদিকে চাপাতির কোপে আহত হন আরও তিনজন। স্থানীয় ব্যক্তিরা আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ আবদুস সালামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেন। সেখানে ১২ চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে তিন আহত ব্যক্তিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ সালামের পরিবারের পক্ষ থেকেও একটি মামলা করা হয়। ওই মামলাই এখন আইন অনুযায়ী হত্যা মামলায় পরিণত হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।