১৬ কেজির কাতলা বিক্রি হলো ৩০ হাজারে

কাতলা মাছটি ঢাকার এক শিল্পপতির কাছে ৩০ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। সোমবার সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায়
ছবি: এম রাশেদুল হক

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীতে স্থানীয় জেলে কালিদাস হালদারের জালে ১৬ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরা পড়েছে। আজ সোমবার ভোরে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় জাল ফেললে মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে নেওয়া হলে ২৮ হাজার টাকায় কিনে নেন মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ। পরে তিনি কাতলাটি ঢাকার এক শিল্পপতির কাছে ৩০ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী শাহজাহান শেখ বলেন, মাছটি তাঁর আড়তে আনার পর ওজন দিয়ে দেখেন প্রায় ১৬ কেজি। এরপর নিলাম ডাকা হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তিনি ১ হাজার ৭৫০ টাকা কেজি দরে ২৮ হাজার টাকায় কিনে নেন। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ঢাকার এক শিল্পপতির কাছে মাছটি ১ হাজার ৯০০ টাকা কেজি দরে ৩০ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, রোববার রাতে জেলে কালিদাস হালদার বাহির চর দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বারপাড়ায় পদ্মা নদীতে জাল ফেলেন। রাতে তেমন ভালো কোনো মাছ পাননি। তবে আজ ভোরের দিকে জাল তুলে নৌকার কাছাকাছি আনার পর ঝাঁকি দিলে দেখতে পান, বড় একটা কাতলা মাছ ধরা পড়েছে। পরে তিনি মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে মাছের আড়তে নিয়ে যান।

শাহজাহান শেখ বলেন, কাতলা মাছটি কিনে লাভে বিক্রি করতে পেরে ভালো লাগছে। গত শনিবার ভোরে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুর এলাকার জেলে কাইয়ুম হালদারের জালে প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়ে।মাছটি তিনি ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেন। পরে ঢাকার কামরুল ইসলাম নামের এক শিল্পপতির কাছে ৬১ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এতেও তাঁর বেশ লাভ হয়েছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, এখন পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছের আকাল থাকলেও বড় বড় বাগাড়, চিতল, বোয়াল, কাতলা, রুই, পাঙাশসহ নানা জাতের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, দশন, কৌনা, কচাল ও চাকাওয়ালা ঘাইলা বেড়জালে ধরা পড়ে।