১৭ বছর পর বাউফলে ছাত্রদলের কমিটি, সংবাদ সম্মেলন করে প্রত্যাখ্যান

১৭ বছর পর গত রোববার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার দুদিন পর আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন একই কমিটির কয়েকজন যুগ্ম আহ্বায়ক।

আজ বেলা ১১টার দিকে বাউফল পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সাবেক সাংসদ শহিদুল আলম তালুকদারের বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এর আগে ২০০৩ সালে উপজেলা ও বাউফল পৌরসভা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী, বিবাহিত, রাজনীতিতে সক্রিয় নন এমন ব্যক্তিদের এবং আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যদের স্থান দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নতুন আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক তৌশিফুর রহমান, ২ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সরিয়ত উল্লাহ, ১০ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান, বাউফল পৌরসভার আহ্বায়ক মো. আবদুল্লাহ আল ফাহাদ ও সদ্য বিদায়ী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় তৌশিফুর রহমান বলেন, মুজাহিদুল ইসলামকে উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। তিনি একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। আর সদস্যসচিব করা হয়েছে মিজানুর রহমানকে। তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন ও বিবাহিত। ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মধ্যে দুই ভাই মো. ফয়সাল ও মো. সুজনকে স্থান দেওয়া হয়েছে। দুই ভাইয়ের মধ্যে সুজন আবার বিবাহিত।
অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুজাহিদুল ও মিজানুর।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের পরামর্শক্রমে কমিটি করা হয়েছে বলে জানান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বাশার। তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অনুপ্রবেশকারী ও বিবাহিত ব্যক্তিদের স্থান পাওয়ার সুযোগ নেই। এরপরও কেউ স্থান পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের সর্বশেষ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০০৫ সালের আগে যাঁরা এসএসসি পাস করেছেন এবং যাঁরা বিবাহিত, তাঁদের কেউ ছাত্রদলের কমিটিতে থাকতে পারবেন না। কিন্তু বর্তমান কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। একটি দুর্বল কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সক্রিয় ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে পুনরায় কমিটি করারও আহ্বান জানান তিনি।

যাঁদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে, তাঁদের অনেককেই চেনেন না বাউফল পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আবদুল্লাহ আল ফাহাদ। তিনি বলেন, যাঁরা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কাগজে-কলমের এই কমিটি দিয়ে রাজনীতি হবে না। তিনি আরও বলেন, তাঁর কমিটিতে সদস্যসচিব করা হয়েছে সাদেকুজ্জামানকে। তিনি বিবাহিত। তাঁর বাবা মো. সখা মিয়া আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং বাউফল পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি। তিনি এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি করার দাবি করেন।

এ বিষয়ে সাদেকুজ্জামান বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।