২ বছরের ছেলেকে হত্যার পর পাশেই শুয়ে ছিলেন বাবা, দাবি পুলিশের

ছেলে হত্যার অভিযোগে আটক সোহেল রানা।
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় দুই বছর বয়সী এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাবা পাশেই শুয়ে ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযুক্ত বাবা সোহেল রানাকে (২৯) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রাম থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনদেরও দাবি, সোহেল তাঁর ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।

নিহত শিশুটির নাম মিনহাজ হোসেন। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সোহেল রানা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। আর সোহেলের স্ত্রী চম্পা খাতুন বাক্‌প্রতিবন্ধী।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরের খাবার শেষে ঘরে শিশু মিনহাজকে ঘুমিয়ে রেখে তার মা চম্পা খাতুন বাড়ির বাইরে যান। এ সময় মিনহাজের সঙ্গে তার বাবা সোহেল রানাও শুয়ে ছিলেন। বিকেলে চম্পা খাতুন রাতের খাবার রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় সোহেল রানা ঘর থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে রান্নায় সহায়তা করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মিনহাজ ঘুম থেকে না জাগলে চম্পা তাকে জাগাতে ঘরে যান। ছেলের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দেখেন মিনহাজ মারা গেছে।
এ ঘটনায় সোহেল রানার অস্বাভাবিক আচরণ ও অসংলগ্ন কথাবার্তায় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে সোহেলকে আটকে করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

চম্পা খাতুন ইশারা-ইঙ্গিতে জানান, তাঁর স্বামী সোহেল রানাই ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। স্বজনদের ধারণা, মুঠোফোনে কোনো মেয়ের সঙ্গে সোহেল রানার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ছেলে না থাকলে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া ও নতুন বিয়ে করা সহজ হবে। এমন ধারণা থেকে ছেলেকে তিনি হত্যা করে থাকতে পারেন।

বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রানা ক্ষোভে ছেলেকে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যার পর ছেলের পাশেই শুয়ে ছিলেন তিনি। তবে কী কারণে হত্যা করেছেন, তা বলেননি। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করেছে।