২০ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল যশোর জেলা আ.লীগ

আওয়ামী লীগ

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের ২০ মাস পর আজ শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ১৯ জন উপদেষ্টাসহ ৯৪ সদস্যের এই কমিটি অনুমোদন দেন। অনুমোদিত কমিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এর আগে গত ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে শহীদুল ইসলামকে সভাপতি ও শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনের ২০ মাস পর আজ এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

চলতি মাসে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার সমন্বয়ে একটি প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হোসেনের কাছে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে বিতর্কিতদের নাম বাদ দিয়ে সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে আজ কমিটির অনুমোদন দেন ওবায়দুল কাদের।

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে শহীদুল ইসলামকে সভাপতি ও শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্যের আংশিক কমিটি হয়।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, যাঁরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়, তাঁরাই এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে কমিটি পূর্ণাঙ্গ হতে দেরি হয়েছে। এত দিন কমিটি পূর্ণাঙ্গ না থাকলেও জেলা আওয়ামী লীগ তাদের সাংগঠনিক কার্যাবলির মাধ্যমে করোনায় মানুষের পাশে ছিল।

পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহসভাপতি হয়েছেন আবদুল মজিদ, হায়দার গণি খান পলাশ, সাইফুজ্জামান পিকুল, আবদুল খালেক, একে এম খয়রত হোসেন, মোহাম্মদ আলী রায়হান, গোলাম মোস্তফা, জহুর আহম্মেদ, এ বি এম আহসানুল হক, মেহেদী হাসান ও এস এম হ‌ুমায়ূন কবির। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন মনিরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম ও মীর জহুরুল হক। সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন এস এম আফজাল হোসেন, মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও জহিরুল ইসলাম চাকলাদার।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন গাজী আব্দুল কাদের, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবু সেলিম রানা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুখেন মজুমদার, দপ্তর সম্পাদক মজিবুদ্দৌলা কনক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুন্সী মহিউদ্দিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবির বিপুল ফারাজী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সেতারা খাতুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউর হাসান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এ এস এম আশিফুদ্দৌলা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর, শ্রম সম্পাদক কাজী আবদুস সবুর হেলাল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী উত্তম বর্ণ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাসার। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন ওহিদুল ইসলাম তরফদার, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন লুৎফুল কবীর এবং কোষাধ্যক্ষ পদ পেয়েছেন মঈনুল আলম।

উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হয়েছেন মঈনুদ্দিন মিয়াজি, নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, মাস্টার রুহুল আমিন, গোলাম মোস্তফা খোকন, জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, সৈয়দ ওসমান মঞ্জুর, মঞ্জুরুল ইমাম, এস এম কামরুজ্জামান, গোলাম রসুল, প্রণব ধর, জয়নাল আবেদীন, নওশের আলী, মিজানুর রহমান মৃধা, আবুল হোসেন খান, আব্দুল মান্নান, মোবাশ্বের হোসেন, আহসান উল্লাহ মাস্টার ও সোলায়মান হোসেন।

সদস্য পদ পেয়েছেন স্বপন ভট্টাচার্য্য, কাজী নাবিল আহমেদ, শেখ আফিল উদ্দিন, রণজিত কুমার রায়, নাসির উদ্দিন, মোহিত কুমার নাথ, আলেয়া আফরোজ, ফিরোজা রেজা আলী, শরীফ খাইরুজ্জামান, এনামুল হক বাবুল, আব্দুস সালাম, ফারুক হোসেন, সরদার অলিয়ার রহমান, মেহেদী মাসুদ চৌধুরী, শওকত আলী, আসাদুজ্জামান, আসাদুজ্জামান আসাদ, মীর আরশাদ আলী রায়হান, মোস্তফা আশিষ দেবু, দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন, অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, রফিকুল ইসলাম মোড়ল, মসিউর রহমান সাগর, সাইফুল ইসলাম তুহিন, আরশাদ পারভেজ, এহসানুল রহমান, গোলাম মোস্তাফা, সামির ইসলাম পিয়াস, আলমুন ইসলাম, অমিত কুমার বসু, নাজমা খানম, ভিক্টোরিয়া পারভিন, হ‌ুমায়ূন সুলতান ও মারুফ হোসেন।