২১ মাস ধরে বিকল হয়ে আছে এক্স-রে যন্ত্র

রোগীদের রংপুর মহানগরের কোনো বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্র বা হাসপাতালে গিয়ে এক্স–রে করাতে হচ্ছে। এতে খরচও অনেক বেশি।

প্রতীকী ছবি

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ মাস ধরে বিকল হয়েছে আছে একমাত্র এক্স-রে যন্ত্র। এটি সচলের উদ্যোগ কিংবা নতুন এক্স-রে যন্ত্র সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছে সাধারণ রোগীরা।

এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন চিকিৎসক জানান, দীর্ঘদিন ধরে এক্স-রে যন্ত্রটি বিকল থাকায় সাধারণ রোগীদের রংপুর মহানগরের কোনো রোগনির্ণয় কেন্দ্র বা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে এক্স–রে করাতে হচ্ছে। এতে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে তাদের। উপজেলায় আর কোথাও এক্স-রে যন্ত্র নেই।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রংপুর নগরের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। এই উপজেলার তিস্তা নদীর চরাঞ্চল থেকে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে রংপুর নগর।

গত মঙ্গলবার দুপুরে তিস্তার একটি চর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন আকলিমা বেগম (৪৬)। চিকিৎসক তাঁকে এক্স-রে করার পরামর্শ দেন। কিন্তু উপজেলার কোথাও এক্স-রে করানোর সুযোগ না থাকায় তাঁকে রংপুর নগরে যেতে হয়। সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এক্স-রে করান আকলিমা।

আকলিমা বেগম বলেন, হাসপাতালটিতে তাঁকে ৬৫০ টাকা দিয়ে এক্স-রে করাতে হয়েছে। যাতায়াতসহ যাবতীয় বিষয় মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৫০০ টাকা। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে সুবিধা থাকলে তাঁকে ২০০ টাকার বেশি খরচ করতে হতো না।

বিকল যন্ত্রের বিষয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ ফেরদৌস জানান, ৫০ শয্যার এই হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে যন্ত্রটি ২০২০ সালের ৪ মার্চ বিকল হয়ে পড়ে। এরপর থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি।