২৫ হাজার মানুষকে ঈদের খাবার দিলেন মেয়র

আজ সোমবার দুপুরে মিনিট্রাকে করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে, মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেন স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি: প্রথম আলো
আজ সোমবার দুপুরে মিনিট্রাকে করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে, মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেন স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি: প্রথম আলো

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নরসিংদীর পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২৫ হাজার মানুষকে দেওয়া হয়েছে মোরগ-পোলাওয়ের প্যাকেট। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এই ঈদে সংকটে থাকা পৌরবাসীকে এক বেলা ভালো মানের খাবার তুলে দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

আজ সোমবার দুপুরে মিনিট্রাকে করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে, মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের হাতে এসব প্যাকেট তুলে দেন স্বেচ্ছাসেবীরা। প্রতিটি খাবারের প্যাকেটে ছিল পোলাও, মুরগির এক টুকরো মাংস, ডিম, ফিরনি ও পানির একটি বোতল। গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে শহরের বাসাইল এলাকার শাপলা চত্বরে মেয়রের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এসব রান্নার আয়োজন করা হয়।
মেয়রের আমন্ত্রণে গতকাল রাত আটটায় সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ৪০টি চুলায় পর্যায়ক্রমে রান্নার জন্য আনা হয়েছে ৩০০ পাতিল। এক দিকে কেউ মসলা পিষছেন, অন্যদিকে কেউ মুরগির মাংস কাটছেন। বাবুর্চিরা নিচ্ছেন রান্নার প্রস্তুতি। অন্তত ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে দেখা গেছে এই আয়োজনে সহযোগিতা করতে। পুরো আয়োজনটি উপস্থিত থেকে সমন্বয় করছেন পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামান।
আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সারা রাত ধরে চলেছে রান্নার কাজ, পরে সকালে এসব খাবার প্যাকেট করা হয়। ঈদের নামাজের পরপরই এসব খাবার মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়। বেলা ১টার আগেই ২৫ হাজার মানুষের হাতে পৌঁছে যায় এসব খাবার। আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা মিনিট্রাকে করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মানুষের হাতে পৌঁছে দেন এসব খাবারের প্যাকেট।
মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এখানকার শিল্পকারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীরা। এবারের ঈদে তাঁদের মনে সেভাবে কোনো আনন্দ নেই। তাই এমন দিনে তাঁদের সঙ্গে একবেলা খাবার ভাগাভাগি করে নিতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছি।’
এর আগে চলমান করোনা সংকটের প্রায় পুরোটা সময় নরসিংদীতে নানামুখী কর্মসূচি নেন পৌর মেয়র। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে ছিল সংকটে থাকা মধ্যবিত্ত, অসহায়, দুস্থ ও কর্মহীন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রায় ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ এবং রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার মানুষকে ইফতার করানো। এ ছাড়া ছিল পৌরবাসীর মধ্যে ৫০ হাজার মাস্ক, ২৫ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ২ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই) বিতরণ।