২৬ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে

গাজীপুর সিটিতে সামিটের অর্থায়নে ৩৮ নং কালাকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত তিনতলা ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ শনিবার বিকেলে
প্রথম আলো

আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তালিকা প্রকাশ করে সারা জাতির সামনে ৩০ দিনের সময় দেব। এ বিষয়ে কারও আপত্তি আছে কি না, তা দেখা হবে। আপত্তি না থাকলে খসড়া চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করব ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। ২৬ মার্চ আমরা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করব।’

আজ শনিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কালাকৈর এলাকায় ৩৮ নং কালাকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত তিনতলা ভবন উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন। সামিট গ্রুপের অর্থায়নে বিদ্যালয় ভবনটি নির্মিত হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা আমরা প্রকাশ করেছি ওয়েবসাইটে, সেখানে দেখেছি ভুলক্রমে যাঁরা আওতাভুক্ত নন, তাঁদের নাম এসে গেছে। আবার যাঁদের নাম আওতাভুক্ত হওয়ার কথা ছিল, তাঁদের নাম বাদ পড়েছে। সে জন্য আমরা সেটাকে আরও তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছি। এই মাসেরই ৩০ তারিখে সেটা হবে। কারও নামে যদি ভুল থাকে, তিনি যদি আমাদের নজরে আনেন, তাহলে তা আমরা সংশোধন করব। সর্বোপরি এটা পাওয়ার পর আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তালিকা প্রকাশ করে সারা জাতির সামনে ৩০ দিনের সময় দেব। পরে খসড়া চূড়ান্ত তালিকার পর ২৬ মার্চ আমরা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করব।’

মন্ত্রী বলেন, তবে কারও বিষয়ে যদি তদন্তাধীন কোনো বিষয় থাকে, তাহলে সেগুলো বাদ থাকবে। পরবর্তীকালে তাঁরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হলে তালিকায় তাঁদের নাম সংযুক্ত হবে।

গাজীপুর সিটিতে সামিটের অর্থায়নে ৩৮ নং কালাকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত তিনতলা ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান অতিথিরা। আজ শনিবার বিকেলে
প্রথম আলো

আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালাকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। সেটিকে সামিটের অর্থায়নে তিনতলা ভবন করা হয়েছে। আমরা এখন এই প্রাথমিক বিদ্যালয়কে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করব। সামিটের মতো অন্যদেরও এলাকাবাসীর উন্নয়নে কাজ করা উচিত।’

অনুষ্ঠানে সামিট গাজীপুর-২ পাওয়ার এবং এইস অ্যালায়েন্স পাওয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সামিট গ্রুপের অর্থায়ন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে শূন্য দশমিক ৮ একর জমির ওপর নতুন তিনতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিদ্যালয়ে আগে ৩০৪ বর্গফুটের চারটি শ্রেণিকক্ষ ছিল। এখন ৫৪০ বর্গফুটের ১০টি শ্রেণিকক্ষ করা হয়েছে। বিজ্ঞান ল্যাব ও কম্পিউটার ল্যাবের জন্য নির্ধারিত কক্ষ করা হয়েছে। একটি গ্রন্থাগার করা হয়েছে। অভিভাবকদের জন্য বিশ্রামাগার, শিক্ষকদের দুটি কক্ষ, একটি সভাকক্ষ ছাড়াও পুরো বিদ্যালয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর সিটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোরশেদ আলম সরকার। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সামিট গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান লতিফ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা আক্তার প্রমুখ।