কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ২৭ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। ব্যবসায়ী আছেন ৫৯ শতাংশ। ২৪ শতাংশ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। অতীতে মামলা ছিল ২৭ শতাংশের বিরুদ্ধে।
রোববার বেলা ১১টায় কুমিল্লা টাউন হলের মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কুমিল্লা জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ১৫ জুন কুমিল্লা সিটির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মহানগর সুজনের সভাপতি আনিসুর রহমান আকন্দ। তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পাঁচজন মেয়র প্রার্থী ১০৫ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৩৪ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীসহ মোট ১৪৪ জনের হলফনামা বিশ্লেষণ করেছে সুজন। এতে পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা ৪০ শতাংশের দুজন স্নাতক, ২০ শতাংশের একজন স্নাতকোত্তর, একজন এইচএসসি ও একজন এসএসসি পাস। সাধারণ ওয়ার্ডে এসএসসির নিচে শিক্ষাগত যোগ্যতা ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ (৩০ জনের), সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ২৬ দশমিক ৫ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। প্রার্থীদের মধ্যে ২৭ দশমিক ১ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে ও ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ স্নাতক। বাকিদের মধ্যে এসএসসি ১৬ শতাংশ, এইচএসসি ২১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, স্নাতকোত্তর ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রার্থীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ০৩ শতাংশ ব্যবসায়ী। ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ গৃহিণী। বাকিরা ভিন্ন ভিন্ন পেশায় আছেন।
সুজন কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি শাহ মো. আলমগীর খান বলেন, সুজন সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করছে। সুজন ১৩ বৈশিষ্ট্যের ব্যক্তিকে ভোট না দিতে প্রচার চালাচ্ছে। বৈশিষ্ট্যগুলো হলো হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী, কালোটাকার মালিক, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মিথ্যাচারী, যুদ্ধাপরাধী, নারী নির্যাতনকারী, চোরাকারবারি, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী, ঋণ-বিলখেলাপি, সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ও ভূমি দখলদার। কুমিল্লা সিটি নির্বাচন স্বচ্ছ হবে। এটা তাঁরা বিশ্বাস করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজন কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি শাহ মো. আলমগীর খান, সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান, মহানগরের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রেজবাউল হক প্রমুখ।