৩ কিশোর হত্যায় কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে

যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী এক আনসার সদস্যকে মারধরের ঘটনায় ১৩ আগস্ট দুপুরে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কিশোরদের পেটানো হয়। এতে তিন কিশোর নিহত ও ১৫ কিশোর আহত হয়।

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) তিন কিশোর হত্যাকাণ্ডে কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। দুই সদস্যের এই তদন্ত কমিটি আজ বুধবার প্রতিবেদন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) যুগ্ম সচিব সৈয়দ নুরুল বাসির প্রথম আলোকে বলেন, 'শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর হত্যাকাণ্ডে কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছি। আজকের কোনো এক সময় মহাপরিচালকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হবে। পরে মহাপরিচালক ওই প্রতিবেদন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।'


তদন্ত কমিটির প্রধান আরও বলেন, 'কেন্দ্রে নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা আছে। এসব অব্যবস্থাপনা নিরসন করতে এবং কেন্দ্রের শিশুদের চিকিৎসাসেবার জন্যে সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক নিযুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।'

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার যশোর জেনারেল হাসপাতালের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে 'হত্যাজনিত কারণেই' তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


এ ছাড়া যশোর জেলা প্রশাসনের আরও একটি তদন্ত কমিটি মাঠে কাজ করছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ওই কমিটি সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

যশোরের পুলেরহাটে অবস্থিত শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী এক আনসার সদস্যকে মারধরের ঘটনায় ১৩ আগস্ট দুপুরে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই কিশোরদের পেটানো হয়। এতে তিন কিশোর নিহত ও ১৫ কিশোর আহত হয়। এই ঘটনায় নিহত এক কিশোরের বাবা রোকা মিয়া বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় কেন্দ্রের ৫ কর্মকর্তা ও অপর ৮ কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।