৩ হাজার টাকায় সৎ মেয়েকে হাতবদল, ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

সৎ বোন অসুস্থ। তাকে দেখতে গিয়েছিল কিশোরী। সৎ বাবা মেয়েটিকে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে গিয়ে ৩ হাজার ১০০ টাকার বিনিময়ে কয়েকজন তরুণের হাতে তুলে দেন। ওই তরুণেরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার রাতে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়।

ওই ঘটনায় বুধবার কুলাউড়া থানায় মেয়েটির সৎ বাবাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন কুলাউড়া সদরের কাসেম মিয়া (২৫), আরজান মিয়া (২৪) ও পাপ্পু দাস (২২)। তাঁরা পেশায় রাজমিস্ত্রি।

আটক তরুণেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন যে ওই কিশোরীকে তাদের হাতে তুলে দিয়ে ইমরান ৩ হাজার ১০০ টাকা নিয়েছেন।
সনক কান্তি দাস, এসআই, কুলাউড়া থানা

এজাহার, থানা-পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির (১৭) বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলায়। শৈশবে বাবা মারা যাওয়ার পর ইমরান আলী (৩৫) নামের একজনের সঙ্গে তার মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ইমরানের বাড়িও নোয়াখালীতে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কুলাউড়া শহরে রিকশা চালান। মেয়েটি ৩ অক্টোবর সৎ বাবার বাসায় যায়। গতকাল বিকেলে বেড়ানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে বাসা থেকে বের হন ইমরান। তিনি মেয়েটিকে শহরের রেলস্টেশন এলাকায় নিয়ে কাসেমের হাতে তুলে দেন। কাসেম বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মেয়েটিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলেন। এ সময় অটোরিকশায় কাসেমের বন্ধু আরজান ও পাপ্পুও ওঠেন। তাঁরা মেয়েটিকে মনছড়া এলাকায় নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

রাস্তার পাশে অটোরিকশা দাঁড়ানো দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। অটোরিকশাচালক তাঁদের বলেন, তিনজন তরুণ মেয়েটিকে নিয়ে জঙ্গলের দিকে গেছেন। লোকজন সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন এবং ধাওয়া করে আরজান ও পাপ্পুকে আটক করেন। কাসেম দৌড়ে ও চালক অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। লোকজন মেয়েটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখান থেকে মেয়েটিকে মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

খবর পেয়ে বুধবার সকালে কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সনক কান্তি দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে কাসেমকে আটক করে। বেলা দুইটার দিকে মেয়েটি ইমরান, কাসেম, আরজান ও পাপ্পুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা অটোরিকশাচালককে আসামি করে মামলা করে।

জানতে চাইলে এসআই সনক কান্তি দাস বলেন, আটক তরুণেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন যে ওই কিশোরীকে তাদের হাতে তুলে দিয়ে ইমরান ৩ হাজার ১০০ টাকা নিয়েছেন। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইমরান গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাঁকে ও অটোরিকশার চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।