৩৪ বছরে তাঁকে ধরতে দায়িত্ব পেয়েছেন ১২০ পুলিশ কর্মকর্তা

৩৪ বছর পলাতক থাকার পর নড়াইলের লোহাগড়া থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম
ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কোম্পানিতে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন নুরুল ইসলাম। সেখান থেকে ১০ হাজার টাকা ও একটি বাইসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ১৯৮৬ সালে কোম্পানি তাঁর বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় মামলা করে। তখন থেকে তিনি পলাতক। ১৯৯৪ সালে আদালত তাঁর অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। ৩৪ বছর পর অবশেষে মাগুরা শহর থেকে নড়াইলের লোহাগড়া থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।

নুরুল ইসলামের বর্তমান বয়স ৫৮ বছর। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাগুরা শহর থেকে নড়াইলের লোহাগড়া থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামে।

গতকাল সন্ধ্যায় নড়াইলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) রিয়াজুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ারেন্ট তামিলকারী পুলিশ কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহফুজুল হক।

মো. মাহফুজুল হক বলেন, গাজীপুরের আদালত ১৯৯৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নুরুল ইসলামকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। ওয়ারেন্ট অনুযায়ী তাঁকে গ্রেপ্তার করতে এ পর্যন্ত ১২০ জন পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব পেয়েছেন।

গ্রেপ্তার নুরুল বলেন, ১৯৮৬ সালে মামলার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় ছদ্ম নামে চলাফেরা করতেন। সর্বশেষে মাগুরা শহরে পত্রিকা বিক্রি করতেন। মাগুরায় তিনি বিয়ে করে সংসার করছিলেন।