৪ ঘণ্টায় ১৪ জনকে কামড়ে দিল শিয়াল

মঙ্গলবার ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সোয়া সাতটা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন রোজিনা বেগম (৩৮) নামের এক নারী। ঠিক তখন একটি শিয়াল এসে ওই নারীকে কামড়ে দেয়। রোজিনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর খবর আসে শিয়ালের কামড়ে আরও চারজন আহত হয়েছে। মুহূর্তেই এলাকায় হইচই পড়ে যায়।

শিয়ালটিকে ধরতে এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে নেমে আসেন। টানা চার ঘণ্টা চেষ্টার পর বেলা সোয়া ১১টায় শেয়ালটি ধরা পড়ে এবং লাঠিপেটায় মারা যায়। তবে ততক্ষণে কামড়ে দেয় ১৪ জনকে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রত্না দেবনাথ (৩৪) নামের এক নারীকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অন্যরা হলেন আবুল কাসেম (৫০), আবদুর রাশিদ (৭০), শিবলু মিয়া (৩১), রোকন মিয়া (৪৮), মো. জুয়েল (২৫), শফিক মিয়া (২২), মুছা মিয়া (৫০), রানু বেগম (৩৫), হীরন রবি দাস (২৩), রফিকুল ইসলাম (৩০), লালন মিয়া (২৯) ও শিরিনা বেগম (৪০)। তাঁরা পৌর শহরের হাসপাতালসংলগ্ন এলাকার পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রত্যেককে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, রোজিনা বেগমকে কামড়ানোর শিয়ালটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এরপর সামনে যাকে পেয়েছে, তাকে কামড়ানোর চেষ্টা করেছে। কারও হাতে, কারও পায়ে কামড়ায়। লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শিয়ালটিও ছোটাছুটি শুরু করে। পরে জনতার হাতে ধরা পড়ার পর পিটিয়ে মেরে ফেলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানভীর হাসান বলেন, ১৪ জনকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। একজন ছাড়া বাকিরা বাড়িতে চলে গেছেন। তবে সবার খোঁজখবর রাখা হবে।