৪২ মণের সুলতানকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঢাকার পশুহাটে

ষাঁড়টির নাম সুলতান। মালিক রহুল আমিন একে বৃহস্পতিবার রাতে নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকার পশুহাটে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রাঁনীগাও গ্রামে
প্রথম আলো

গত বছর কোরবানির ঈদে সুলতানের ওজন ছিল ২৭ মণ, বয়স ছিল ৩০ মাস। কিন্তু পছন্দমতো দাম না হওয়ায় সেবার সুলতানকে বিক্রি করা হয়নি। এখন সুলতানের ওজন বেড়ে হয়েছে ৪২ মণ, লম্বায় ১০ ফুট, উচ্চতায় ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, বয়স সাড়ে তিন বছর। বিশাল এই ষাঁড়ের মালিক শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের রানীগাঁও গ্রামের মো. রহুল আমিন। তিনি এবার গরুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা। কিন্তু স্থানীয় ব্যাপারীদের কাছে দাম না পাওয়ায় সুলতানকে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ঢাকার পশুহাটের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, সুলতানের তথ্য, ছবি নিয়ে উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ভিডিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় ক্রেতারা কম দাম বলায় গরুর মালিক গরুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

বর্তমানে গরুটি লম্বায় ১০ ফুট, উচ্চতায় ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, বয়স সাড়ে তিন বছর, ওজন ১ হাজার ৬৭৬ কেজি বা প্রায় ৪২ মণ।

রহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, সাড়ে তিন বছর আগে তিনি নিজের গোয়ালের একটি গাভিকে কানাডা থেকে আমদানি করা উন্নত মানের সিমেনের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে প্রজনন করান। এভাবে একটি ষাঁড় বাছুরের জন্ম হয়। এরপর থেকে বাছুরটিকে প্রতিদিন খড়, ভুসি ও উন্নত মানের খাদ্য খাওয়ানো হয়। আস্তে আস্তে ষাঁড়টি বড়সড় হয়ে ওঠে। রহুল আমিন বলেন, সাড়ে তিন বছরে সুলতানের খাবার বাবদ খরচ হয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার বেশি। আনুষঙ্গিক আরও দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে গরুটির ওজন ১ হাজার ৬৭৬ কেজি বা প্রায় ৪২ মণ।

রহুল বলেন, এবার স্থানীয় একজন ব্যাপারী সুলতানের দাম করেছেন ১০ লাখ টাকা। এত বড় গরু এত কম টাকায় বিক্রি করা সম্ভব না। তাই আজ রাতে ট্রাকে করে সুলতানকে ঢাকার আফতাবনগর পশুর হাটে নিয়ে যাবেন। এ জন্য বাঘবেড় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের শিল্পপতি ও ধনী মানুষ কোরবানির জন্য দেশে লালন-পালন করা গরু কিনলে আমাদের মতো খামারিরা গরুর প্রকৃত দাম পাবেন এবং কোরবানির জন্য গরু পালনে খামারিরা আরও আগ্রহী হবেন।’

আরও পড়ুন

রানীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, রহুল আমিন নিজ পরিবারের সদস্যের মতো গরুটিকে লালন-পালন করছেন। এই গ্রামে আগে কেউ এত বড় ষাঁড় লালন–পালন করেননি। কিন্তু জেলায় গরুটির দাম না থাকায় রহুল গরুটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।