৫ বছর পর মানসিক ভারসাম্যহীন নারী খুঁজে পেলেন পরিবার

হারিয়ে যাওয়ার পাঁচ বছর পর রিনা আক্তার ফিরে পেলেন তাঁর পরিবার
ছবি: সংগৃহীত

হারিয়ে যাওয়ার পাঁচ বছর পর রিনা আক্তার (৪৬) ফিরে পেলেন তাঁর পরিবার। ২০১৭ সালে বাড়ি থেকে বের হয়ে হারিয়ে যান মানসিক ভারসাম্যহীন রিনা। তিনি খুলনার ফুলতলা উপজেলার নাড়ীপাড়া গ্রামের মোহসীন আকন্দের স্ত্রী। ফারজানা আক্তার নামে তাঁর এক মেয়ে আছে। ফারজানা ঢাকার একটি নার্সিং কলেজে পড়াশোনা করছেন।

রিনার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সাল থেকে রিনা আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। তখন থেকে কাউকে কিছু না বলে মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসতেন। ২০১৭ সালে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন।

এক সপ্তাহ আগে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন তরুণ রিনা আক্তারকে ভবঘুরে অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাঁর ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বজলুর রহমান ওই নারীর কথা জানতে পেরে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তিনিও তাঁর ফেসবুকে ওই নারীর ছবিসহ একটি পোস্ট দেন। গত সোমবার ফারজানা আক্তারের এক স্বজন ফেসবুকে ছবি দেখতে পেয়ে তাঁকে খবর দেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নিয়ামতপুরে আসেন ফারজানা এবং মাকে দেখতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

ফারজানা বলেন, ‘মা নিখোঁজ হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। অনেক দিন পর মাকে খুঁজে পেয়ে আমি খুব খুশি। সবার দোয়া চাই, সেবাযত্ন করে যেন মাকে সুস্থ করে তুলতে পারি।’

নিয়ামতপুর সদর ইউপির চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন একজন নারী নিয়ামতপুরে ভবঘুরে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন—এটা জানতে পেরে তিনি ওই নারীকে খুঁজে বের করেন এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত থাকায় তাঁকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। গতকাল মেয়ে এসে ওই নারীকে নিয়ে যান।