৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু

পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ঘাটে নোঙর করা ডাম্প ফেরি। এই ফেরি তীব্র স্রোতের বিপরীতে চলতে পারে না। আজ শুক্রবার সকালে বাংলাবাজার ফেরিঘাট এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

বৈরী আবহাওয়া ও তীব্র স্রোতের কারণে প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে নয়টি ফেরি উভয় ঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে চলাচল করছে। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা কম।

বৈরী আবহাওয়া ও পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে উভয় ঘাট থেকে পরীক্ষামূলক দুটি ফেরি ছাড়া হয়। ফেরি দুটি কোনো বাধা ছাড়াই ঘাটে পৌঁছালে সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়।

আজ বেলা ১১টায় বাংলাবাজার ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ভজন সাহা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে আট-নয়টি ফেরি সীমিত আকারে যানবাহন নিয়ে খুবই সতর্কতার সঙ্গে পদ্মা পারাপার হচ্ছে। আজ সকাল থেকে প্রতিটি ফেরিতে অর্ধেক লোড দেওয়া হয়। পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোতের কারণে ফেরি চলতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্রোতের কারণে শিমুলিয়া ঘাটে কয়েকটি পন্টুনের ক্ষতি হয়েছে। গতকাল থেকেই পন্টুনগুলো ঠিক করার কাজ চলছে।

এদিকে আজ সকালেও ঢাকামুখী যাত্রীরা ভিড় করছেন বাংলাবাজার ফেরিঘাটে। তাঁরা কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থাকার পর ফেরিতে উঠতে পারছেন। চলমান বিধিনিষেধে ফেরিতে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখতে বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না।

বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. জামালউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এখন যাঁরা ঢাকামুখী হচ্ছেন, তাঁরা বেশির ভাগই পোশাকশ্রমিক। তাঁরা জানাচ্ছেন, কারখানা খোলা, না যেতে পারলে চাকরি থাকবে না। মানবিক কারণে যাত্রীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে।