৯ চোরাচালান মামলার আসামি এবার ইয়াবার কারবারে ধরা

চোরাচালানির ৯টি মামলা কাঁধে নিয়ে ইয়াবার কারবারে ধরা পড়া ছালেহ আহমদ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে।
প্রথম আলো

ভারতীয় চোরাই পণ্য বিক্রির অভিযোগে ২০০৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হয়। এরপর আরও সাতটি মামলা হয় একই অভিযোগে। সর্বশেষ গত ২৬ মে আরও একটি মামলা হয়। সব মিলিয়ে ১২ বছরে তাঁর কাঁধে ৯টি চোরাচালানির মামলা জমেছে। একাধিকবার জেলও খেটেছেন। চোরাই পণ্যের সঙ্গে ইয়াবা বড়ি ‘হোম ডেলিভারি’ করে বিক্রির অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি অভিযানে ধরা পড়েছেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে খুচরা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা ২০৫টি ইয়াবা ও ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ছালেহ আহমদ (৪৫) সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ছত্রিশ গ্রামের বাসিন্দা। সিলেট নগরীর পূর্ব কাজিরবাজার এলাকা থেকে ভোর পাঁচটার দিকে তাঁকে আটক করা হয়। দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মহানগর পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ভোরবেলা একটি প্রাইভেট কারে (নম্বর: ঢাকা মেট্রো গ-১২-৮৯৫৭) থাকা অবস্থায় আটক করা হয় ছালেহকে। গাড়ি তল্লাশি করে ২০৫টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আহমেদ পেয়ারের নেতৃত্বে এ অভিযান হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, ছালেহ আহমদ একজন পেশাদার চোরাকারবারি। সিলেটের সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ, আলু, চা–পাতা, সুপারি, প্রসাধনসামগ্রী চোরাই পথে সিলেট শহরে নিয়ে এসে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করতেন। সম্প্রতি ছালেহ চোরাই পণ্যের সঙ্গে ইয়াবার হোম ডেলিভারি শুরু করলে গোয়েন্দা পুলিশ তার ওপর নজরদারি বাড়িয়েছিল।

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছালেহ ভারতীয় চোরাই পণ্যের সঙ্গে সম্প্রতি ইয়াবা বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন। কয়েকজন সহযোগীর নাম ও ঠিকানা বলায় ছালেহের সঙ্গে জড়িত চোরাকারবারিদের গ্রেপ্তারে আরেক দফা অভিযান চালানো হবে।

৯টি মামলা প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মহানগরের কোতোয়ালি, জালালাবাদ, মোগলাবাজার থানা ছাড়াও ঢাকার শ্যামপুর থানায়ও মামলা আছে। ২০০৮ সাল থেকে সর্বশেষ মামলা পর্যন্ত ছালেহ একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন। জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আবার চোরাকারবারিতে জড়িত হয়েছেন, এমন তথ্যও পাওয়া গেছে। ইয়াবাসহ আটক হওয়ায় মাদক আইনে আরও একটি মামলা হয়েছে। বাকি ৯টি মামলার মধ্যে কোন মামলার কী অবস্থা, এসব পর্যালোচনা করে দেখা হবে।