'আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাব?'

কিরণ বালা মণ্ডল
কিরণ বালা মণ্ডল

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী কিরণ বালা মণ্ডলের জন্ম ১৯১২ সালে। আসছে অক্টোবরে তাঁর ১০৮ বছর পূর্ণ হবে। মেয়ের দরিদ্র নাতির সংসারে থাকেন তিনি। এত দিনেও তিনি বয়স্ক, বিধবা বা সরকারি অন্য কোনো ভাতার কার্ড পাননি।

কিরণ বালার বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চিলগাড়ী গ্রামে। তিনি বলেন, ‘কত মানুষের কাছে গেলাম। ভোটের সময় কত মানুষ আশ্বাস দিল। কিন্তু কেউই কিছুই দিল না। আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাব?’

কিরণ বালা মেয়ের নাতি মণি কুমার বিশ্বাসের পরিবারে থাকেন। সাতজনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য মণি। তিনি বলেন, তাঁর নানি ও তাঁর মায়ের নানির অন্য কেউ না থাকায় তিনি একসঙ্গে থাকেন। মাঠে চাষযোগ্য জমি নেই। কাজ করেন শ্রীপুর উপজেলা সদরের একটি কাপড়ের দোকানে। দোকানের বেতনের আয় দিয়ে কোনোরকমে চলে সংসার।

মণি কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, তাঁর নানি ও নানির মা কিরণ বালা মণ্ডল দুজনই বয়স্ক ভাতার যোগ্য হলেও কেউই কোনো ভাতা পান না।

জানতে চাইলে শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘আমি অল্প কিছুদিন হলো উপনির্বাচনের
মাধ্যমে জয়ী হয়েছি। করোনার সময় ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। আর বলেছি, এবার কার্ড এলেই করে দেব।’

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘গত সপ্তাহে বিষয়টি জেনেছি। ইতিমধ্যে ওই নারীর কাগজপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তিনি ভাতার আওতায় আসবেন। এসব তালিকা জনপ্রতিনিধিরা করেন। অনেক সময় কেউ কেউ বাদ পড়ে যান। বিষয়টি বিবেচনা করে চলতি বছর থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’