পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেসব খাতে ব্যয় কমাতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন বা পুরোনো গাড়ির জায়গায় নতুন গাড়ি কেনাসহ সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া প্রকল্পের জন্য সম্মানী খাতে বরাদ্দ করা টাকা থেকে সভার জন্য সম্মানী বাবদ কোনো টাকা ব্যয় করা যাবে না।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, অন্যান্য মনিহারি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, আসবাব খাতে বরাদ্দ করা টাকার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও বরাদ্দ করা টাকার সর্বোচ্চ অর্ধেক ব্যয় করা যাবে। আর জ্বালানি খাতে বরাদ্দ করা টাকার সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। আর বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ করা টাকার ২৫ শতাংশ সাশ্রয় করতে হবে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বরাদ্দ করা টাকা সঠিকভাবে ব্যবহারের বিষয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ব্যয় সংকোচনের বিষয়ে সরকারের জারি করা পরিপত্র অনুসরণ করে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলতি অর্থবছরের বাজেট যথাযথভাবে ব্যয় এবং বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি। প্রণয়ন করা ক্রয় পরিকল্পনা ৩১ জুলাই নির্ধারিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে আপলোড করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, উন্নয়ন বাজেট ও নিজস্ব তহবিলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সব প্রকার প্রকল্প বা কর্মসূচির ক্ষেত্রে সম্মানী খাতে বরাদ্দ করা টাকা থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি), প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিএসসি), বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিপিইসি), বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (এসপিইসি) এবং বিভাগীয় বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিএসপিইসি) সভায় সম্মানী বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করা যাবে না। আর সভা, সেমিনার, কর্মশালা বা প্রশিক্ষণ যথাসম্ভব ভার্চ্যুয়ালি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে।

সভায় ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের সদস্য মো. আবু তাহের বলেন, ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারি এসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

সভায় ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহ আলম, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রার, হিসাব বিভাগের প্রধান ও প্রকৌশল দপ্তরের প্রধানেরা অংশগ্রহণ করেন।