মহাসড়কে নেই যানজট, ভাবাচ্ছে বেপরোয়া গতি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়েক গাড়ির চাপ তেমন নেই। মহাসড়ক ফাঁকা থাকায় বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চলছে। আজ বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের সুলতানা মন্দির এলাকায়কৃষ্ণ চন্দ্র দাস।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে গত দুদিন ধরে তেমন কোনো যানজট নেই। ঈদের ছুটিতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন ঘুরমুখী মানুষ। তবে মহাসড়কে যানবাহনের বেপরোয়া গতি হাইওয়ে পুলিশের মাথাব্যথা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজট না থাকায় সড়ক ফাঁকা পেয়ে চালকেরা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আজ রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের কুমিরা, সুলতানা মন্দির, বাঁশবাড়িয়া ও বাড়বকুণ্ড এলাকার কোথাও কোনো যানজট নেই। ঘোড়ামরা, রয়েল সিমেন্ট গেট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক-লরিগুলোকে সকালেই সরিয়ে দিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।

হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কের ছোট কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুণ্ডের তিনটি জায়গায় কমিউনিটি পুলিশও কাজ করছে। মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখার জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ।

খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন ফাঁকা সড়ক পেয়ে বেপরোয়া গতিতে চলছে যাত্রীবাহী যানবাহন। এই বেপরোয়া গতি তাঁদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার ঈদে মহাসড়কের কোথাও যানজট হবে না। তবে এভাবে বেশি গতিতে গাড়ি চললে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদের আগে তাঁরা বেপরোয়া গতির জন্য মামলা করতে চান না। চালকদের বুঝিয়ে অনুমোদিত গতিতে গাড়ি চালানোর বিষয়টি মানানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ভাটিয়ারি বাসস্টেশন এলাকায় চালকদের এ বিষয়ে বোঝানো হচ্ছে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভাটিয়ারি ও ঘোড়ামরা এলাকায় হালকা যানজটের সৃষ্টি হয়। ওই দিন রাত থেকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কের কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্য অনুসারে, চট্টগ্রাম নগরের সিটি গেট থেকে সীতাকুণ্ডের বড়দারোগারহাট পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ৩৮ কিলোমিটার। সড়কের এই অংশে কোথাও কোনো ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক নেই।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুল হাকিম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যা হলে সীতাকুণ্ড বাসস্টেশনে যানবাহন কিছুটা ধীরগতিতে চলে। কিন্তু যানজটের সৃষ্টি হয় না। বড়দারোগারহাট ওজন স্কেলেও এখন যানজট হয় না।