ক্যানসারের রোগী ও স্বজনদের মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে

মানসিক সহায়তা দেওয়ার জন্য সিলেটের মাউন্ট অ্যাডোরা হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে ৩০টি ক্যানসার রোগীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ছবি: সংগৃহীত

ক্যানসারের রোগী ও স্বজনদের মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। ক্যানসার রোগীদের মানসিক সহায়তা দেওয়ার জন্য রেনাটা লিমিটেডের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।

সাইকোলজিক্যাল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ক্লিনিকের সহযোগিতায় মঙ্গলবার সিলেটের মাউন্ট অ্যাডোরা হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে ৩০টি ক্যানসার রোগীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওই আয়োজন করা হয়।

ইংল্যান্ডের এমএসই এবং ইউসিএলএইচ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এর হেমাটোলজির সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক আমিন ইসলাম, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি  বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ক্যানসার একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম একটি উদ্বেগের বিষয়। এই রোগ শুধু শারীরিক অসুস্থতাই নয়; বরং প্রচুর মানসিক যন্ত্রণারও ব্যাপার। এই রোগে শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক সহযোগিতারও দরকার হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যানসারের চিকিৎসার সময় যে রোগী পাশাপাশি মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা নিচ্ছেন, তাঁর ক্ষেত্রে ওষুধ বেশি কাজ করছে। তিনি দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন।

বক্তারা বলেন, কারও ক্যানসার হলে তিনি প্রথমেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে সেই পরিবারটিই মানসিকভাবে দুশ্চিন্তায় পড়ে। এমন রোগে প্রথমেই মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। রোগীকে এমন কোনো কথা বলা যাবে না যাতে রোগী মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েন। যেকোনো রোগে, বিশেষ করে ক্যানসারের মতো রোগে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হওয়ার তাগিদ দেন বক্তারা ।

সেমিনার সঞ্চালনা করেন রেনাটা লিমিটেডের অনকোলোজি বিভাগের টিম লিডার আমির আবদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে চিকিৎসক ও ক্যানসার রোগীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।