অচেতন হওয়ার ভান করে শুয়ে ছিলেন, তাঁর বাড়ি থেকে ৬ লাখ টাকা উদ্ধার

কারাগার
প্রতীকী ছবি

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ার নাটক সাজিয়েও এক দোকান কর্মচারী ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করতে পারেনি। তাঁর কাছ থেকে ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকা খরচ করে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওই আসামির নাম আবদুর রহিম। তিনি একটি মাছের দোকানের কর্মচারী। গ্রেপ্তারের পর আজ নোয়াখালীর চরজব্বর থানার চরমজিদ গ্রামে তাঁর বাড়ি থেকে আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) স্পিনা রানী প্রামাণিক প্রথম আলোকে বলেন, আত্মসাৎ করা ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকা আসামি খরচ করে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন। প্রতিষ্ঠানের মালিকের করা মামলায় আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় আবদুর রহিমকে।

পুলিশ জানায়, রাকিব ফিশের কর্মচারী আবদুর রহিম গত ২৭ সেপ্টেম্বর নগরের পাহাড়তলী থানা এলাকার একটি ব্যাংক থেকে প্রতিষ্ঠানের ছয় লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এর সঙ্গে এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানের পাওনা আরও ৬০ হাজার ৩০০ টাকা নেন। কিন্তু আবদুর রহিম ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে টাকাগুলো নিয়ে যাননি। পরে রাত ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ইউসুফ জানতে পারেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কালুশাহ মাজারগেটের কাছে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে আবদুর রহিমকে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, কীভাবে কালুশাহ মাজারের কাছে গেলেন, তিনি কিছুই জানেন না। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আবদুর রহিম ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে কোনো তথ্য দিতে পারছিলেন না।

ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমান হোসেন ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহের চেষ্টা করেও পাননি। একপর্যায়ে নগরের অলংকার শপিং কমপ্লেক্সের সামনের একটি ফুটেজে দেখা যায়, আবদুর রহিম ঘটনার দিন বিকেল পাঁচটার দিকে শপিং ব্যাগ হাতে নিয়ে সুস্থভাবে হেঁটে যাচ্ছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, ঘটনার দিন বিকেল পাঁচটার দিকে অলংকার মোড় থেকে নোয়াখালীর চরজব্বর থানার নিজ বাড়িতে গিয়ে টাকাগুলো রেখে আসেন। পরে রাতে অচেতন হওয়ার ভান করে শুয়ে থাকেন সীতাকুণ্ড কালুশাহ মাজারের পাশে।