ঢাকার বাইরে যেতে চান না সমবায় কর্মকর্তারা, মাঠপর্যায়ে অনিয়ম

  • আজ ৫ জুলাই পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস।

  • দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে অধিদপ্তর।

সমবায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ক্যাডারভুক্ত অনেক কর্মকর্তা ঢাকার বাইরে যেতে চান না। ফলে ঢাকার বাইরের কার্যালয়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা পড়ে আছে। এ বিষয়টির পাশাপাশি জনবলসংকটের কারণে সমবায় সমিতিগুলোর কার্যক্রম সঠিকভাবে নজরদারি হচ্ছে না। এ সুযোগে সমিতিগুলো অনিয়ম করছে।

অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাডার কর্মকর্তা হয়েও অনেকে চাকরিজীবনের অর্ধেক সময় কাটিয়ে দিয়েছেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে। ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও অনেকে যেতে চান না। এর প্রভাব পড়ছে মাঠপর্যায়ে।

বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রতি মাসে নির্ধারিত সংখ্যক সমবায় সমিতি পরিদর্শনের কথা। কিন্তু জনবলসংকটের কারণে তা হচ্ছে না। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে অনেক সমবায় সমিতি।
গত বছরের ২ মে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক রিক্তা দত্তকে বরিশাল বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেখানে যুগ্ম নিবন্ধক হিসেবে যোগ দেননি।

এ বিষয়ে বিসিএস ২১ ব্যাচের সমবায় ক্যাডারের কর্মকর্তা রিক্তা দত্ত গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি তাঁর চাকরিজীবনে কখনো ঢাকার বাইরে কাজ করেননি। তাই ঢাকার বাইরে যেতে তাঁর আগ্রহ নেই। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তাঁর বদলি আদেশ স্থগিত করা হয়।

একইভাবে প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত নিবন্ধক জেবুন নাহার, যুগ্ম নিবন্ধক রাশিদা মুসতারীন, উপনিবন্ধক সামিয়া সুলতানাকে গত বছর ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছিল। যদিও পরে তা স্থগিত করা হয়।

অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার তথ্য অনুসারে, চাকরিজীবনের বেশির ভাগ সময় ঢাকায় কাটিয়ে দেওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও আছেন অতিরিক্ত নিবন্ধক মোহাম্মদ হাফিজুল হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম নিবন্ধক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম নিবন্ধক মো. মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম নিবন্ধক সাইয়্যেদাতুন নেছা, উপনিবন্ধক মুহাম্মদ হোসেনুজ্জামান, উপনিবন্ধক মল্লিকা রানী দাশ, সহকারী নিবন্ধক এইচ এম সহিদ-উজ-জামান।

ঢাকা বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ে আট বছর ধরে উপনিবন্ধক পদে কর্মরত আছেন মোছা. নূর-ই-জান্নাত। তিনি গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বদলি আমাদের ইচ্ছায় হয় না। বদলি করে থাকে মন্ত্রণালয়। আমি নিজেও বদলি হতে চাই। কিন্তু করা হয় না। কেন বদলি করা হয় না, আমি জানি না।’

এ নিয়ে মাঠপর্যায়ে থাকা ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। তাঁরা বলছেন, এঁদের জন্যই তাঁরা ঢাকায় আসতে পারছেন না।

জানতে চাইলে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুনিমা হাফিজ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদবির করে অনেকে থেকে যাচ্ছেন। এই দপ্তরে আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। এসব আমার দেখার বিষয় নয়।’

এমন প্রেক্ষাপটে আজ ৫ জুলাই পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কো-অপারেটিভস: ড্রাইভিং ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইনেবল সলিউশনস ফর আ বেটার ওয়ার্ল্ড’। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে সমবায় অধিদপ্তর। আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার উপস্থিত থাকার কথা।

নজরদারির ঘাটতি, ঝুঁকিতে হাজারো সমিতি

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম (৪০)। তিনি চাঁনপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের একটি সমবায় সমিতিতে ৩০ লাখ টাকা রেখেছিলেন। সমিতির কার্যালয়ে এখন তালা ঝুলছে। সমিতির চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম উধাও। টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রোকেয়া।

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় গত এপ্রিলে গ্রাহকের টাকা নিয়ে একসঙ্গে ২৩টি সমবায় সমিতি হাওয়া হয়ে যায়। এসব সমিতিতে গ্রাহকের জমার পরিমাণ ৭৩০ কোটি টাকা। সমিতিগুলোর কয়েক হাজার গ্রাহক এখন নিঃস্ব।

গ্রাহকের টাকা নিয়ে সমিতি উধাও, সঞ্চয় হারিয়ে মানুষের কান্না, প্রতিবাদে সরকারি দপ্তর ঘেরাও—সমবায় সমিতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের গ্রাহকদের এমন অভিজ্ঞতার কথা প্রায়ই সামনে আসে।

সম্প্রতি সমবায় অধিদপ্তর দেশের ১ হাজার ২৪১টি সমবায় সমিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গত ৫ মার্চ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে একটি সমন্বয় সভা হয়। সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মোহাম্মদ ইমরান হাবীব।
সভায় বলা হয়, এই সমবায় সমিতিগুলো কোনো ধরনের নিয়মনীতি মানছে না। তারা প্রতিনিয়ত আইন ভাঙছে। আটটি বিভাগের এসব সমবায় সমিতিকে নজরদারিতে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, নজরদারির ঘাটতির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনিয়মকারী সমবায় সমিতিগুলোকে ধরা যাচ্ছে না। তারা নানা কৌশলে পার পেয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সমবায় সমিতিগুলোর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের সুসম্পর্ক থাকে। সে কারণে সমিতিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।

৫ বছরে সাড়ে ১৪ হাজার সমিতি বন্ধ

অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাঁচ বছরে (২০১৯-২০২৪) দেশে ১৪ হাজার ৪২৮টি সমবায় সমিতির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এসব সমিতির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।

২০১৯ সালে দেশে মোট সমবায় সমিতি ছিল ১ লাখ ৯২ হাজার ২০টি। অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৪ সাল নাগাদ সমবায় সমিতির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯২টি।

দরিদ্র মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি করে সরকার। বর্তমানে সমবায় সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত হয় সংশোধিত সমবায় সমিতি আইন, ২০১৩-এর মাধ্যমে।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সারা দেশে সমবায় সমিতিগুলোতে গ্রাহকের বিনিয়োগের পরিমাণ ২৯ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। সমবায় সমিতিগুলোর মোট সম্পদ ১৩ হাজার ২১০ কোটি টাকা। সমবায় সমিতির সঙ্গে সদস্য হিসেবে যুক্ত আছেন ১ কোটি ২৪ লাখ মানুষ। সমবায়ের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯৬ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তবে এসব সমিতি দারিদ্র্য নিরসনে কতটা কাজ করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

বাংলাদেশ সমবায় একাডেমির অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত নিবন্ধক) কাজী মেসবাহ্ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, কোনো সমিতির কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে, নিরীক্ষা (অডিট) প্রতিবেদন না হলে, বার্ষিক সাধারণ সভা না হলে, সমিতির লেনদেন না থাকলে নিবন্ধন বাতিল করা হয়। আবার সমিতির পক্ষ থেকে আবেদন করলেও নিবন্ধন বাতিল করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে কাজী মেসবাহ্ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সমবায় সমিতিগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে অনিয়মের ব্যাপারে অনেক সময় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায় না। আর জনবলসংকটের কারণেও মাঠপর্যায়ে সমবায় সমিতির ওপর নজরদারি রাখা সম্ভব হয় না।

জনবলসংকট

সমবায় অধিদপ্তর মোটাদাগে চারটি কাজ করে। সমবায় সমিতির নিবন্ধন, সমিতির নির্বাচনে সহযোগিতা, সমিতির ওপর নজরদারি ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন করা।
অধিদপ্তরের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নিরীক্ষা করার মতো সমবায় সমিতি ছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২০টি। কিন্তু নিরীক্ষা করা হয়েছে ৮২ হাজার ৮৫৬টি। প্রায় ৫৩ হাজার সমিতির নিরীক্ষা করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সব সমিতির নিরীক্ষা করার মতো পর্যাপ্ত জনবল অধিদপ্তরে নেই। অধিদপ্তরের মোট পদ ৫ হাজার ৯০। বর্তমানে ১ হাজার ৪০০টির মতো পদ খালি। জনবলসংকটের কারণে সব সমবায় সমিতি নিরীক্ষা করা যাচ্ছে না। ফলে অনেক সমবায় সমিতি অনিয়ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে।

রাজশাহী বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক মো. মোখলেছুর রহমান রংপুরের বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়েরও দায়িত্ব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পালন করছেন। দুটো বিভাগের দায়িত্ব কীভাবে সামাল দিচ্ছেন, জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কাজের পরিধি এত বিস্তৃত যে একজন কর্মকর্তার পক্ষে একটি উপজেলাই চালানো কঠিন। সেখানে তাঁকে দুটি বিভাগ দেখতে হচ্ছে। এটিকে কোনোমতে চালানো বলা যেতে পারে।

সমবায় অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বরিশাল ও সিলেট বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়েও যুগ্ম নিবন্ধকের পদ খালি রয়েছে। অন্য কর্মকর্তাদের দিয়ে এ দুটি বিভাগে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে।

অন্যদিকে উপজেলা সমবায় অফিসের অনুমোদিত জনবল কাঠামো পাঁচজনের। কুমিল্লার মেঘনা, কিশোরগঞ্জের তাড়াইলসহ কয়েকটি উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে কর্মরত আছেন দুজন বা তিনজন করে।

তাড়াইল উপজেলা সমবায় অফিসের সহকারী পরিদর্শক প্রতিচি তাহনিন বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলায় প্রায় ৭০টির মতো সমবায় সমিতি রয়েছে। সহকারী পরিদর্শকের পদ রয়েছে দুটি। তবে তিনি এখানে একা দায়িত্ব পালন করছেন।

নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

অধিদপ্তরে নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০২২ সালে অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৫১১টি পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে গত বছরের জুলাইয়ে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়মের সঙ্গে কারা জড়িত, তা জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এসব পদে নতুন করে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুনিমা হাফিজ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এটি বিচ্ছিন্ন কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। সুশাসনের ঘাটতি এখানেও রয়েছে। সমবায় সমিতিগুলোর সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত। তাই ইচ্ছা থাকলেও সবকিছু করা যায় না। সবার সহযোগিতা ছাড়া এ প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করা কঠিন।

কমিশনের সুপারিশ

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমবায় অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডকে (বিআরডিবি) একীভূত করে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সমবায় ক্যাডারকে অন্য প্রাসঙ্গিক ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সমবায় ও খাদ্য ক্যাডারকে প্রশাসনিক সার্ভিসের সঙ্গে একীভূত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সমবায় অধিদপ্তরে নানা সমস্যা। সমবায় সমিতিগুলো নজরদারিতে নেই। এসব অনিয়মের সঙ্গে কর্মকর্তারা জড়িত থাকেন। এই অধিদপ্তরে মহাপরিচালক দেওয়া হয় অন্য ক্যাডার থেকে। কিন্তু সমবায় ক্যাডার থেকেই মহাপরিচালক হওয়া উচিত ছিল। বর্তমান কাঠামো দিয়ে সমবায় চলবে না। পেশাদার লোক দিয়ে সমবায়কে চালাতে হবে। এ ছাড়া সমবায়ের জন্য আলাদা একটা জাতীয় ব্যাংক করতে হবে। সমবায় ক্যাডার রাখার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। তাই সমবায় ক্যাডারকে বিলুপ্ত করা উচিত।