জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে আলোচনার আহ্বান জোনায়েদ সাকির
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র, শ্রমিক ও জনতা সব পক্ষের অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু উপদেষ্টাদের আন্দোলন ন্যায্য আর অন্যদের আন্দোলন অন্যায্য—এই নীতি চলতে পারে না। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে আগের ফ্যাসিবাদের মতো দীর্ঘসূত্রতা কেন? অবিলম্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে আলোচনায় বসুন।’
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এ কথাগুলো বলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৫০ বছর উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন।
সমাবেশে বক্তারা ভারতের নদী আগ্রাসন প্রতিহত এবং নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
নদী রক্ষা না করলে সভ্যতা টিকে থাকবে না উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নদীতে বাঁধ দিয়ে ভারত তার আধিপত্যবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। কিন্তু বাংলাদেশে একের পর এক সরকার এলেও তারা নদীর পানির ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতকে আমরা আগেও বলেছি, এই দেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে। বন্ধুত্ব করতে হলে সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। কারও অধিকার হরণ করে বন্ধুত্ব করা যায় না। এটাকে দাসত্ব বলে।’
দেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রয়োজন উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, এই বন্দোবস্ত হবে গণতান্ত্রিক। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জনগণের দাবি অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করুন। আপনাদের কোনো ভূমিকা যাতে জনগণের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি না করে, আমরা সেটার নিশ্চয়তা চাই। আমরা সংস্কারের স্পষ্ট রোডম্যাপ চাই।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগরের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব মাহবুব রতন, আশুলিয়া গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলার আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন, বাঞ্ছারামপুর থানার সংগঠক শামীম শিবলী, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দিপক রায়, আলীফ দেওয়ান ও বাচ্চু ভুঁইয়া।