ব্রিটিশ স্পিকারের সঙ্গে স্পিকার শিরীন শারমিনের সাক্ষাৎ

শিরীন শারমিন চৌধুরী ও স্যার লিন্ডসে হোয়েল
ছবি: টুইটার

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ওয়েস্টমিনিস্টার ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে হাউস অব কমন্সের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার ভোরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সফর উপলক্ষে ওয়েস্টমিনিস্টার প্রাঙ্গণে ব্রিটিশ পতাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের পতাকাও উত্তোলন করা হয়। সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

সাক্ষাৎকালে শিরীন শারমিন চৌধুরী ও লিন্ডসে হোয়েল জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশের ডায়াসপোরা, সামাজিক উন্নয়নসহ কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টগুলোর ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলা, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নসহ সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে ওয়েস্টমিনিস্টার ও কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টগুলো একত্রে কাজ করতে পারে। বিগত সময়ে সিপিএর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টগুলো এবং আইপিইউসহ অন্যান্য পার্লামেন্টারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে তিনি অবদান রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন। এসব ক্ষেত্রে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সহযোগিতা ও সমর্থন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন স্পিকার।

স্পিকার আরও বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর কনফারেন্স কমনওয়েলথ হেডস অব গভর্নমেন্ট মিটিংয়ে সরকারি পর্যায়ে আলোচনার পাশাপাশি পার্লামেন্টগুলোর সঙ্গে বিদ্যমান ও উদীয়মান ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় করা যেতে পারে। বর্তমানে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা পার্লামেন্টগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময় করে যাচ্ছে। কমনওয়েলথও এ পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারে।

স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে যেসব দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তবে সরকারের যুগোপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে সংকট মোকাবিলা করছে। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার পাশাপাশি বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি পার্সপেক্টিভ প্লান ও ডেলটা প্ল্যান গ্রহণ করেছে। এসব ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন।

ব্রিটিশ স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ ও উদ্যোগগুলোর প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের ডায়াসপোরা ব্রিটেনে বেশ প্রশংসার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টসহ স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা নিষ্ঠার সঙ্গে ব্রিটেনের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে তাঁরা বাংলাদেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্রিটেনের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন। বাংলাদেশ পার্লামেন্টের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে তিনি ব্রিটিশ স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানান। স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।সাক্ষাৎকালে ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজ সাইদা মুনা তাসনিম ও যুগ্ম সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।