অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেবে

প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা
ছবি: সংগৃহীত

প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল–২০২৩ জনস্বার্থবিরোধী ও স্বৈরাচারী উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি করেছে প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ দাবি করা হয়।

সভায় আলোচকেরা বলেন, প্রস্তাবিত বিলে বিধান রাখা হয়েছে, জনস্বার্থে সরকার প্রয়োজন মনে করলে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে পারবে। সেই সঙ্গে কোনো ব্যক্তি বেআইনিভাবে ধর্মঘট শুরু করলে বা চলমান রাখলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

সংবিধানে থাকা জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার ও শ্রমিকদের ধর্মঘট বা প্রতিবাদ জানানোর অধিকার হরণ করার জন্য প্রস্তাবিত বিলটি আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, এই বিল আইনে পরিণত হলে শ্রমিকদের আইনসংগত আন্দোলনের পথ রুদ্ধ হবে। জনস্বার্থবিরোধী এমন আইন কোনোভাবেই পাস করতে দেওয়া যাবে না।

অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিলটি গত ৬ এপ্রিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়। বক্তারা বলেন, শ্রমিকেরা কাজ করেন এমন কোনো খাত নেই, যা অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতের আওতায় পড়ে না। তাই ভবিষ্যতে এই আইনের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ের আন্দোলন এবং সংবিধান ও শ্রম আইন স্বীকৃত অধিকার কেড়ে নেওয়া হতে পারে।

সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন। সভাপতিত্ব করেন প্রগতি লেখক সংঘের সসভাপতি জাকির হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন সমাজ অনুশীলন কেন্দ্রের রঘু অভিজিৎ রায়, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জাকির হোসেন, ভাষানী পরিষদের ওমর তারেক চৌধুরী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।