গ্রামীণ ব্যাংকের দৈনিকভিত্তিক পিয়ন-কাম-নিরাপত্তারক্ষীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি
গ্রামীণ ব্যাংকের দৈনিকভিত্তিক পিয়ন-কাম-নিরাপত্তারক্ষীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েছে ‘গ্রামীণ ব্যাংক ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ’। ১০ দিনের মধ্যে এ দাবি মেনে নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
পরিষদের কর্মচারীরা শ্রম আইন অনুযায়ী নিয়োগপত্র-ছুটি-বোনাস দেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি আন্দোলন-সংগঠন করার কারণে অনেকের শাস্তিমূলক চাকরিচ্যুতি-বদলি হয়েছে দাবি করে তা বন্ধ করতে বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দুর্দশার শেষ নেই। তাঁরা অধিকারবঞ্চিত।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, দেশের শ্রম আইন না মেনে ৩২ বছরের যে শোষণব্যবস্থা জারি রয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আড়াই হাজার শ্রমিকের চাকরি অবিলম্বে স্থায়ী করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আলাউদ্দিন আল মামুন। তিনি বলেন, ১০ দিনের মধ্যে তাঁদের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক যদি চাকরি স্থায়ীকরণের ঘোষণা না দেয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে রাজপথ, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান শাখায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তারিকুল তারা। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মানস নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ, নারী নেত্রী সীমা দত্ত, ছাত্রনেতা সালমান সিদ্দিকী, গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারী মিন্টু মিয়া, আপেল মাহমুদ, আরিফ মিয়া, মেহেদী হাসান, জসিম উদ্দিন, আহসান হাবিব প্রমুখ।