চেয়ারম্যান-পিআইওসহ ছয়জনকে বিবাদী করে আরও একটি মামলা

আদালতে মামলা
প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে আরও একটি মামলা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম।
মামলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও চার ইউপি চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ হাসানুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এ বিষয়ে ১৪ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে ৪ মে প্রথম আলোয় ‘হবিগঞ্জের লাখাইতে কাবিখার কাজ না করেই টাকা খাওয়া শেষ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি করেন লাখাই উপজেলার আমানউল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও লাখাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম।

আজ দায়ের করা মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, লাখাই উপজেলার জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ৫৯৪ টন চাল এসেছিল। এর ভিত্তিতে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে মুড়িয়াউক, বামৈ, বুল্লা ও করাব ইউনিয়নে ৯টি প্রকল্প নেয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি। কাগজে-কলমে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বরাদ্দ বাবদ প্রায় ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে প্রকল্পের কোনো কাজ না করেই।

আরজিতে আরও বলা হয়েছে, কাবিখার কর্মসূচিতে সংস্কার করা যেসব রাস্তা দেখানো হয়েছে, সেগুলো গ্রামের অনেক পুরোনো। সরেজমিন রাস্তা সংস্কারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। গ্রামবাসীও রাস্তায় কোনো কাজের কথা জানেন না। উল্লিখিত চার ইউপি চেয়ারম্যান, কাবিখা উপজেলা কমিটির সভাপতি ও লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম ও সেই সময়কার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আলী নূর—মোট ছয়জন প্রকল্পের কোনো কাজ না করে নিজেরা মাস্টাররোল পূরণ করে এবং শ্রমিকের স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে সব অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ৪ মে প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশের পর তিনি মামলাটি করেছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রকল্প কর্মকর্তা ও চার ইউপি চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।

এর আগে ৫ মে একই অনিয়মের অভিযোগে লাখাই উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ইকবাল মিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ বামৈ ও করাব ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করেন। দুদককে তদন্ত করে একই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।